পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামের মুমতি নারায়ণী মুখ ফিরাইয়া রুষ্টভাবে বলিলেন, আমাকে জালাতন কসিনে খাম, নেতা আছে, তাকে ধলগে । • রাম আর কিছু না বলিয়া বাইরে আসিয়া নেতাকে খুজিয়া বাহির করিয়া বলিল, খেতে দে নেতা। । - - নেত্য বোধ করি প্রস্তুত হইয়াই ছিল, এক বাটি দুধ, কিছু মুড়ি ও চার-পাঁচটা নারিকেল-নাডু আনিয়া দিল । রাম রাগিয়া উঠিয়া বলিল, এই বুঝি } নেত্য বলিল, ছোটবাবু ভাল চাও ত আজ আর হাঙ্গামা ক’রে না। বাৰু ! খেয়ে কাছারি চলে গেছে, মা উপোস করে গোবিন্দকে নিয়ে ভয়ে আছে। গোলমাল শুনে যদি উঠে আসে–তোমার আদেষ্ট্রে দুঃখ আছে তা বলে দিচ্চি। রাম তাহ দেখিয়াই আসিয়াছিল, আর দ্বিরুক্তি না করিয়া খানিকটা দুখ খাইয়া মুড়ি ও নাড়ু কেঁচড়ে ঢালিয়া পুকুরধারে গাছতলায় গিয়া বসিল । তাহার জাহারে প্রবৃত্তি চলিস্ক গিয়াছিল। বৌদি উপোস করিয়া আছে। সে অঙ্কমনস্ক হইয়া মুড়ি চিবাইতে চিবাইতে ভাবিতে লাগিল, তাহার মুনি-ঋষিদের মত কোন একটা মন্ত্র জানা থাকিলে এইখানে বসিয়াই সে বৌদির পেট ভরাইয়া দিত । কিন্তু মন্ত্র না জানিয়া কি উপায়ে যে কি করা যায়, ইহা কোনমতে স্থির করিতে পারিল না। ফিরিয়া গিয়া তাহাকে খাইবার জন্ত অনুরোধ করিতে তাহার লঙ্গা করিতেও লাগিল। তা ছাড়া দাদা খায়নি। অনুরোধ করিলেই বা কি হইবে ? সে ক্টোচড় হইতে মুড়ি প্রভৃতি জলের উপর ছড়াইয়া ফেলিয়া দিয়া ঘুরিয়া. বেড়াইতে লাগিল । কেবলই মনে হইতে লাগিল, বৌদি উপোস করিয়া আছে। কথাটা সে মনে মনে যত রকম করিয়া আবৃত্তি করিল, ততবারই তাহার মনের মধ্যে চুচ ফুটিল। রাত্রে খামলাল ভাৰ্য্যাকে বলিলেন, আমার আর সন্থ হয় না। ওকে নিয়ে আর ধাস করা চলে না । ! নারায়ণী অবাক হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, কার কথা বলচ ? , প্রামের কথা । তোমার মা অামাকে চার-পাচ দিন ধরে ক্রমাগত বলচেন, রাম ওকে না-হক অপমান করচে। আমি পাঁচজন ভদ্রলোক ডেকে বিষয়-আশয় সমস্ত ভাগ করে ওকে আলাদা করে দেব। আমি আর পারিনে । - নারায়ণী স্তম্ভিত হইয়া ক্ষণকাল বসিয়া থাকিয়া বলিলেন, রামকে আলাদা করে দেবে ? ওকথা মুখে এনে না। ও দুধের ছেলে, বিষয়-আশয় নিয়ে কি कद्रूष उनि ? - গুমলাল বিরূপ করিয়া বলিলেন, দুধের ছেলেই বটে। জার বিষয়-সম্পত্ত্বি নিয়ে ও ফি করবে, সে ওই জানে । . . " ቘውም