পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ বঙ্গ। আমি আছি, তাই যে তোমার সব স্বরমা । সুরমার চক্ষু আবার জলে ভিজিয়া আপিল, কহিল, তুমি আমাকে জাবার বেচতে পার ? যজ্ঞ। না, তা পারি না। নিজেকে না বেচে ফেললে উটি কিছুতেই হতে পারে না । স্বরমা কথা কহিল না, তেমনিভাবে সজল-নয়নে তাহার পানে চাহিয়া রহিল । বহুক্ষণ পরে ধীরে ধীরে কহিল, তুমি দাদা, আমি ছোট বোন—আমাদের দু'জনার মাঝখানে একটি বৌ আন না দাদা ! যজ্ঞ । কেন বল দেখি ? মুরমা । সমস্ত দিন ধরে সাজিয়ে-গুজিয়ে তাকে আমি তোমার কাছে বসিয়ে ब्रॉ४१ ।। যজ্ঞ। তা কি প্রাণ ধরে পারবে ? স্বরম। মুখ তুলিয়। চোখের উপর চোখ পাতিয়া কহিল, আমি কি তেমনি অধম যে হিংসা করব ? যজ্ঞ । হিংসা নাই করলে, কিন্তু নিজের স্থানটি বিলিয়ে দেবে ? স্বরম। বিলিয়ে কেন দিতে যাব। আমি রাজা রাজাই থাকব, শুধু একটি মন্ত্রী বহাল করব, দু’জনে মিলে তোমার রাজ্যটা চালাতে আমোদ হবে । যজ্ঞ । দেখ ছায়া, বিবাহে প্রবৃত্তি নেই, কিন্তু তোমার যদি একজন সাখীর বড় প্রয়োজন হয়ে থাকে ত বিবাহ করব । সুরমা । ই, নিশ্চয় কর, খুব আমোদ হবে ; দু’জনে খুব মনের মুখে দিন কাটাব। মনে মনে কহিল, তিন কুলে আমার কেউ নাই, আমার মান-অপমান তাও নাই, কিন্তু তুমি কেন আমাকে নিয়ে বিশ্বের কলঙ্ক কুড়াবে ? দেবতা আমার ! তুমি বিবাহ কর, তোমার মুখ চেয়ে আমার সব সইবে । ৩ কলিকাতায় প্রতিবেশীর খবর অনেকে রাখে না। অনেকে আবার খুব রাখে। যাহাৱা রাখে তাহারা বলে, যজ্ঞদত্ত এম. এ. পাশ করুক, কিন্তু বকাটে ছেলে । ইসারায় তাহারা সুরমার কথাটা উল্লেখ করে । স্বরমা ও যজ্ঞদত্ত মাঝে মাঝে তাহ শুনিতে পায়। শুনিয়া দুইজনে হাসিতে থাকে। יש3Xי