পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্দির বিশ্বাস করিল, ভাবিল, দেবতার জাহানেই সে ফিরিয়া আসিয়াছে। ঠাকুরের মুখে যেন তাই হাসি, মন্দিরে যেন তাই শতগুণ সৌরভ। নিজে যেন সে এ পৃথিবীর অনেক উচ্চে এইরূপ মনে হইল । বে স্বামী নিজের মরণ দিয়া তাহাকে পৃথিবীর এত উচ্চে রাথিয়া গিয়াছেন, সেই মৃত স্বামীর উদ্দেঙ্গে শতবার প্রণাম করিয়া অপর্ণ তাহার অক্ষয় স্বর্গ কামনা করিল। Ֆօ শক্তিনাথ একমনে ঠাকুর গডিতেছিল। পূজা করার চেয়ে ঠাকুর তৈরি করিতে সে অধিক ভালবাসিত । কেমন রূপ, কেমন নাক, কান, চোখ হইবে, কোন ত্বং বেশি মানাইবে, এই তার আলোচ্য বিষয় । কি দিয় তাহার পূজা করতে হয়, কি মন্ত্রে জপ করিতে হয়, এসব ছোট বিষয়ে তাহার লক্ষ্য ছিল না । দেবতার সম্পর্কে সে আপনাকে আপনি প্রমোশন দিয়া সেবকের স্থান হইতে পিতার স্থানে উঠিয়া আসিয়াছিল, তবু তাহার পিতা তাহাকে আদেশ করিলেন, শাক্তনাথ, আজ আমার জর বেড়েচে, জমিদার-বাটতে গিয়ে তুমি পূজা করে এস। শক্তিনাথ বলিল, এখন ঠাকুর গডfচ ! বুদ্ধ অসমর্থ পিতা রাগ করিয়া বলিলেন, ছেলে-খেলা এখন থাকু বাবা, কাজ সেরে এস । পূজার মন্ত্ৰ আবৃত্তি করিতে তাহার মোটে ইচ্ছা হইল না—তৰ উঠিতে হইল। পিতার আদেশে স্নান করিয়া, চাদর গামছা কাধে ফেলিয়া দেবমন্দিরে আসিয়া দাড়াইল। ইহার পূর্বেও সে কয়েকবার এ-মন্দিরে পূজা করিতে আসিয়াছে, কিন্তু এমন কাও কখন দেখে নাই। এত পুষ্প-গন্ধ, এত ধূপ-ধূনার আড়ম্বর, ভোজ্য ও নৈবেষ্ঠের এত বাহুল্য। তার ভারি ভাবনা হইল, এত লইয়া সে কি করিবে ? কিরূপে তাকার পূজা করিবে ? সকলের চেয়ে সে অপর্ণকে দেখিয়া আশ্চর্ধ্য হইয়া গেল। এ কে, কোথা হইতে আলিয়াছে, এতদিন কোথায় ছিল ? অপর্ণ কছিল তুমি কি ভট্টাচাৰ্য্যমহাশয়ের ছেলে ? শক্তিনাথ বলিল, হঁ্য। —তবে পা ধুয়ে পূজা করতে ৰ’ল । পূৰ্ণ করিতে বসিয়া শক্তিনাথ আগাগোড়া তুলিয়া গেল। একটা মন্ত্রও তাছার মনে পড়ে না। সেদিকে তাহার মনও নাই, বিশ্বাসও নাই—শুধু ভাবিতে লাগিল, 曾锡鲁 چsسغه