পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंद्र६-मांहेिडा-जरअंई পড়িয়াছি মনে করিতে পারিতেছি না, কিন্তু কোথায়ু ধেন পড়িয়াছি, কে একজন এক বৃদ্ধ খোলকে প্রশ্ন করিয়াছিল, “বাপু, তোমরা এমন যন্ত্রণ দিয়া বধ কর কেন, আর কোন সহজ উপায় অবলম্বন কর না কেন ?” সে জবাব দিয়েছিল, "এ-ছাড়া আর কোন উপায়ে মারা ভয়ঙ্কর পাপমু'। কটাহের ঐক্য এই যা। সে দশ জানাই হউক আর ষোল আনাই হউক।” ঋতেন্ত্রবাবু বাইবেলের উক্তি উদ্ধত করিয়া বলিয়াছেন, "শিশুঘাতক কানানাইটরা যে সকলকে কিরূপ বিপন্ন করিয়া তুলিয়াছিল" ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু কলিঙ্গের খোদের কবে কাহাকে এমন করিয়া বিপন্ন করিয়া তুলিয়াছিল, এবং কোন দিন কাহার ছেলেমেয়ে চুরি করিয়া আনিয়া দেবতার পূজা দিয়াছিল, তাহা আমার জানা নাই। তাহারা যাহাকে ভূ-দেবীর কাছে বলি দিত তাহাকে ‘মিরিয়া’ বলিত, এবং এই মিরিয়া, তা সে নর নারী যেই হউক, যৌবনপ্রাপ্ত না হইলে কিছুতেই দেবতাকে উৎসর্গ করা হইত না। তাহারা কানানাইটদের মত ছেলে চুরি করিয়া আনিয়া ষে বলি দিত না, তাহার একটা চড় প্রমান এই যে, তাহারা মরণাপন্ন ‘মিরিয়ার' কর্ণমূলে এই কথা উচ্চৈঃস্বরে আবৃত্তি করিতে থাকিত, “তোমাকে দাম দিয়া কিনিয়াছি—আমাদের কোন পাপ নাই—কোন পাপ নাই—আমরা নির্দোষ ।" কিন্তু, কানানাইটদের সম্বন্ধে এরূপ কিছু আবৃত্তি করিবার নিয়ম ছিল কি ? ছিল না । ঋতেন্ত্রবাবু নিজেও প্রবন্ধের এক স্থলে ম্যাকফাসন সাহেবের উক্তি উদ্ধত করিয়া দেখিয়াছেন, খোমোরা আর যাহাই হউক, চোর-ডাকাত ছিল না । তা ছাড়া, কামানাইটদের দেবমন্দিরে শিশুর পঞ্জর দেখিতে পাওয়াটা ঠাকুরমশায়ের স্বপক্ষে সাক্ষ্য দেয় মা বরং বিপক্ষে দেয়। তিনি লিথিয়াছেন, কানামাইটদের দেবমন্দিরাদি খনন করিতে করিতে পুরাতত্ত্বানুসন্ধানীরা এমন বৃহদাকার পাত্র আবিষ্কার করিয়াছেন, যাহার মধ্য হইতে শিশুর সমস্ত পঞ্চর প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। এ-সকলই দেবোদেশে শিশু-বলিদানের নিদর্শন বলিয়৷ পণ্ডিতেরা স্বীকার করেন ।” আমিও করি। কিন্তু, তিনি একটু নিরীক্ষণ করিয়া দেখিলেই দেখিতে পাইতেন, ইহাদের বলির শিশুগুলি ভূমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধিকল্পে ভূ-দেবীকে উৎসর্গ করা হইলে তাহাদের সমগ্র অস্থিপঞ্জর পাওয়া ত ঢের দূরের কথা, এক টুকরা হাড়ও মিলিত না। কারণ, পূর্বেই দেখিয়াছি, যাহারাই ভূ-দেবীর প্রীত্যৰ্থে নরবলী দিয়াছে, তাহারাই মৃতদেহটাকে কোন-না কোন রকমে ভূমির সঙ্গে মিশাইয়া দিয়াছে। প্রত্নতত্ত্বাস্থসন্ধানীর জন্ত কটাহে করিয়া তুলিয়া রাখিয়া যায় নাই। উড়িষ্যার কন্দকাটারাও রাখে নাই। তাহারা মৃতদেহটাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া গ্রামের সকলে মিলিয়া ভাগ করিয়া যে যাহার নিজের ক্ষেতে পুতিত এমন কি, অবশিষ্ট নাড়িজুড়ি হাড়গোড়গুলোকেও ছাড়িত না । বন্ধ \©ፃ•