পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দননগরে আলাপ-সভায় জবাব দিতে পারি না। আমরা বলি—আমাদের আধ্যাত্মিক জীবন খুব বড়কিন্তু বাহিরের লোক সে-কথা বিশ্বাস করে না। মনে মনে হাসে কি-না—জানি না। এতই যদি বড় ত ছোট হয়ে যাচ্ছি কেন ? এই যে দেশটা ত্যাগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয়, ঠিক এরই মধ্যে কোথায় একটা গলদ ঢুকে আছেসেটা খুঁজেও পাচ্ছি না। ক্রমশঃ (অবনতির স্তরে ) নেমেই যাচ্ছি। আমার বইখানা শেষ হয়ে গেলে ( দেখবেন ) তাতে এই সব মতের আলোচনা করেছি। পাচজনকে আহবান করে বলছি বলে দিন—এই হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের দুর্দশা কেন হ’ল ? এটা কেমন করে সম্ভব হ’ল--কেউ যদি বা’র করতে পারেন-দেশের মহা উপকার হবে । কোন উপায় চোখের উপর দেখতেও পাই না। নিজের শক্তিতে প্রতিষ্ঠা করতে পারি না, কিছু বিশ্বাস নেই—এটাই যদি বড় জিনিস হয়, কি অাশা আছে ? আপনারাই বলুন-এর ভিতর কি গলদ আছে ? মতিবাবুকেও বলি, এই আলোচনা-সভায় বলুন—কোনখানটায় গলদ আছে---ষার জন্য এত বড় শাস্তিভোগ করছি ? আমি মনে করেছি—politics-এ আর থাকব না। কোন দিনই বেশি ( সম্বন্ধ )ছিল না । আমি এই lineই নেব-ধ্বংস করার কাজ নেব । সমস্ত জিনিস ছোট করে দেখব । খুব বড় ছিলাম অথচ result nil ! আমাদের কিছুই ছিল না। তার জন্য দুঃখও নাই। বড় হয়ে ওঠ, যে পথে আর দশ জনে বড় হয়ে উঠেছে। আমাদের সঙ্গে তাদের মেলে না—তারাই বড়—এ কথা বললেই চলবে না-আমরা যা বলি, তা করি না-মিথ্যাবাদী –এটা বড় অসত্য বটে, তবু এটাই একমাত্র কারণ নয় । (এ-সম্বন্ধে) আলোচনা হোক। আমি এ পন্থাই নেব । আমাদের কিছুই ছিল না । ২০০০ বছর আগে কি ছিল, তা নিয়ে গৰ্ব্ব করব না। যাদের ছিল তাদের সঙ্গে আমাদের কোন যোগ নেই—রক্তেরও যোগ নেই, ধর্থেরও যোগ নেই—শুধু এক দেশে বাস করি, এইমাত্র। তাদের সঙ্গে সম্পর্কের কথা মৌখিক পড়ি, যোগ দেখতে পাই না। কেউ যদি বুঝিয়ে দিতে পারেন-এইট এই রকমই বটে, তা হলে আলাদা কথা। নহিলে মনে হতে পারে, আমার লেখার ভিতর দিয়ে ক্ষতি হতে পারে। বছর তের-চৌদ্ধ আগে অনেকেই মনে করেছিলেন যে, আমি সাহিত্য নষ্ট করে দিলাম। এমন কি, বড় বড় লোকের মনেও ধারণা জন্মেছিল যে, আমি যা লেখা আরম্ভ করেছি, তাতে বুঝি সমস্তই ধ্বংস হয়ে যাবে। এখন সেই মত নাই—এখন অনেকে বলেন-বিশেষ young menর -“আপনি ভাল পথই নিয়েছেন—আপনার কথা মেনে নেব ।” যে জিনিসটা বললুম, জানি হয়ত তার প্রতিবাদ উঠবে। স্পষ্টই বললুম—রেখে ঢেকে নয়। যদি আপনার বলেন—এ পথটা ঠিক নয়—কেন যদি দেখিয়ে দিতে পারেন, তা হলে আবার ভেবে দেখব। মতিবাবুকেও এ-কথা বলছি। মোট কথা এই, আমি אולץ