পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ষষ্ঠ সম্ভার).djvu/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিপ্রদাস বিপ্রদাস কিছুমাত্র বিস্ময় প্রকাশ করিল না, কহিল, আমার মায়ের ঐটুকুমাত্রই দেখে এলে, আর কিছু দেখবার স্থযোগ পেলে না। পেলে বুঝতে এই নিয়ে রাগ করে না-খেয়ে আসার মত ভুল কিছু নেই। বদন বলিল মহিষের আত্মসম বলে ত একটা জিনিষ আছে। বিপ্রদাস একটু হাসিয়া কহিল, আত্ম-সম্বমের ধারণা পেলে কোথা থেকে ? ইস্কুল-কলেজের মোটা মোট বই পড়ে ত? কিন্তু মা ত ইংরিজি জানেন না, বইও পড়েননি। তার জানার সঙ্গে তোমার ধারণা মিলবে কি করে ? বন্দন বলিল, কিন্তু আমি শুধু নিজের ধারণা নিয়েই চলতে পারি। বিপ্রদাস কহিল, পারলে অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়, যেমন আজ তোমার ইয়েচে । বিদেশের বই থেকে যা শিখেচ তাকেই একান্ত বলে মেনে নিয়েচ বলেই এমনি করে চলে আসতে পারলে। নইলে পারতে না । গুরুজনকে অকারণে অসম্মান করতে বাধত। আত্ম-মর্য্যাদা আর আত্ম-অভিমানের তফাৎ বুঝতে । বন্দন তফাৎ না বুঝুক, এটা সে বুঝিল যে তাহার আজিকার আচরণটা বিপ্রদাসের অস্তরে লাগিয়াছে। তাহার জন্য নয়, মায়ের অসম্মানের জন্য । মিনিট দুই-তিন চুপ করিয়া থাকিয়া বন্দন হঠাৎ প্রশ্ন করিল, মায়ের মত আপনি নিজেও খুব গোড় হিন্দু, না ? বিপ্রদাস কহিল, হা । তেমনি ছোয়া-ছুয়ির বাচ-বিচার করে চলেন ? চলি । প্ৰণাম করতে গেলে তার মতই দূরে সরে যান ? যাই। সময়-অসময়ের হিসেব আমাদের মেনে চলতে হয় । আমার মেজদিদিকেও বোধ করি এমনি অন্ধ বানিয়ে তুলেচেন ? সে তোমার দিদিকেই জিজ্ঞাসা করো। তবে পারিবারিক নিয়ম তাকেও মেনে চলতে হয় । বন্দন হাসিয়া বলিল, অর্থাৎ বাঘের ভয় না করে কারও চলবার জো নেই। বিপ্রদাসও হাসিয়া বলিল, না, জো নেই। যেমন দিনের গাড়িতে বাম্বের ভয় থাকলে মানুষকে রাত্রের গাড়িতে যেতে হয়—ওটা প্রাণ-ধর্মের স্বাভাবিক निब्रय । বঙ্গনা বলিল, দিদি মেয়েমানুষ, সহজেই দুৰ্ব্বল, র্তার ওপর সব নিয়মই খাটান যায়, কিন্তু দ্বিজুবাবুও ত শুনি পরিবারিক নিয়ম মেনে চলেন না, সে সম্বন্ধে বাক্ষ মশায়ের অভিমতটা কি ? প্রশ্নটা খোচা দিবার জম্বই বন্দনা করিয়াছিল এবং বিদ্ধ করিবে বলিয়াই সে \SN هسته