পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शृंहगीझ् জামায় কিছুই হয়নি-আমি ও-ঘরে যাচ্ছি। বলিয়া প্রতিবাদের অপেক্ষ না করিয়া বাহির হইয়া গেল। 彦 এ-বাটীর ঘর-দ্বার সে বিশ্বত হয় নাই। রোগীর কক্ষ চিনিয়া লইতে তাহার বিলম্ব হইল না। প্রবেশ করিতেই মৃণাল চাহিয়া দেখিল ; কহিল, তুমি এসে একটুখানি বোলে৷ সেজদি, আমি আছিক সেরে নিই গে। বরফের টুপীট না পড়ে যায়, একটু নজর রেখো । বলিয়া সে অচলাকে নিজের জায়গায় বসাইয়া দিয়া ঘর ছাড়িয়া চলিয়া গেল । २8 কঠিন নিমোনিয়া রোগ সারিতে সময় লাগিবে । কিন্তু মহিম ধীরে ধীরে যে আরোগ্যের পথেই চলিয়াছিল, এ-যাত্রায় আর তাহার ভয় নাই, এ-কথা সকলের কাছেই স্বম্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছিল। তাহার মুখের অর্থহীন বাক্য, চোখের উত্ত্বোত্ত দৃষ্টি সমস্তই শাস্ত এবং স্বাভাবিক হইয়া আসিতেছিল। & দিন-দশেক পরে একদিন অপরাহ্লবেলায় মহিম শাস্তভাবে ,ঘুমাইতেছিল। এবৎসর সর্বত্রই শীতটা বেশি পড়িয়াছিল। তাহাতে এইমাত্র বাহিরে এক পশলা বৃষ্টি হুইয়া গিয়াছে । রোগীর খাটের সহিত একটা তক্তপোধ জোড়া দিয়া বিছানা করা হইয়াছিল ; ইহার উপরেই সকলে বেশ করিয়া কাপড় গায়ে দিয়া বসিয়াছিল । সকলের চোখ-মুখেই একটা নিরুদ্বিগ্ন তৃপ্তির প্রকাশ, শুধু পিসিমা গৃহকৰ্ম্মে অন্যত্র নিযুক্ত এবং কেদারবাবু তখনও বাড়ি হইতে আসিয়া জুটিতে পারেন নাই । সুরেশের প্রতি চাহিয়া মৃণাল হঠাৎ হাতজোড় করিয়া কহিল, এইবার আমার ছাড়-পত্র মঞ্জুর করতে হুকুম হোক স্বরেশবাবু, আমি দেশে যাই । এই দারুণ শীতে আমার বুড়ী শাশুড়ী হয়ত বা মরেই গেল । স্বরেশ কহিল, এখনও কি তার বেঁচে থাকা দরকার না কি ? না, তার জন্ত আপনার যাওয়া হবে না ? মৃণাল পলকের তরে ঘাড় ফিরাইয়া বোধ করি বা একটা দীর্ঘ নিশ্বাগই চাপিয়া লইল, তাহার পরে মুরেশের মুখের পানে চাহিয়া একটু হাসিয়া বলিল, শুধু আপনিই নয় স্বরেশবাৰু, এ প্রশ্ন পূৰ্ব্বে আমিও অনেকবার করেচি। মনেও হয়, এখন তার যাওয়াই মঙ্গল । কিন্তু মরণ-র্বাচনের মালিক যিনি, তার ত সে খেয়াল নেই, থাকলে হয়ত সংসারে অনেক দুঃখ-কষ্টের হাত থেকেই মাজৰ নিস্তার পেত । অচলা এতক্ষণ চুপ কৰিয়াই ছিল। স্বশালের কথায় ৰােধ করি তাহার স্বামীর xwe