পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शृंहलांझ् টিকিটের কথা অচলার মনেই ছিল না। সে দ্বারের মুখে টিকিটবাবুকে দেখিয়া থমকিয়া দাড়াইতেই সুরেশ পিছন হইতে স্নিগ্ধ-কণ্ঠে কহিল, দাড়িয়ে না, চল, আমি ििक लिहि । তাহার আগমন অচলা টের পায় নাই । মুহূৰ্ত্তের জন্য কুষ্ঠায় ভয়ে তাহার পা উঠিল না, কিন্তু এই সঙ্কোচ অপরের লক্ষ্য-বিবরীভূত হওয়ার পূর্কেই সে আন্তে আপ্তে বাহির হইয়া আসিল । বাহিরে আসিয়া উভয়ের নিম্নলিখিত কথাবাৰ্ত্ত হইল । স্বরেশ কহিল, আমি ভেবেছিলাম, তুমি সোজা কলকাতাতেই ফিরে যেতে চাইবে, হঠাৎ এই ডিহরীতে নেমে পড়লে কেন ? এখানে কি পরিচিত কেউ আছেন ? অচলা অন্যদিকে চাহি ছিল, সেইদিকে চাহিয়াই জবাব দিল, কলকাতায় জামি কার কাছে যাবো ? - কিন্তু এখানে ? অচলা চুপ করিয়া রহিল। মুরেশ নিজেও কিছুক্ষণ মৌন থাকিয়া বলিল, আমার কোন কথা হয়ত আর তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না, আর সেজন্য আমার নালিশও কিছু নেই, আমি কেবল তোমার কাছে শেষ সময়ে কিছু ভিক্ষা চাই । অচলা তেমনি নীরবে স্থির হইয়া দাড়াইয়া রহিল। সুরেশ কহিল, আমার কথা কাউকে বোঝবারও নয়, আমি বোঝাতেও চাইনে । আমার জিনিস আমার সঙ্গেই যাক। যেখানে গেলে এখানের আগুন আর পোড়াতে পারবে না, আমি সেই দেশের জন্তই আজ পথ ধরলুম, কিন্তু আমার শেষ সম্বলটুকু আমাকে দাও, আমি হাত জোড় করে তোমার কাছে এই প্রার্থনা জানাচ্ছি। তথাপি অচলার মুখ দিয়া একটি কথাও বাহির হইল না। স্বরেশ কহিতে লাগিল, আমি নিজে তোমাকে অনেক কটু কথা বলেচি, অনেক দুঃখ দিয়েচি ; কিন্তু পরে যে ভাল থাকার দন্তে ওপরে বসে তোমার মাথায় কলঙ্কের কালি ছিটিয়ে কালো করে তুলবে, সে আমি মরেও সইতে পারবো না। আমার জন্ধে তোমাকে আর না দুঃখ পেতে হয়, বিদায় হবার আগে আমাকে একটুকু হযোগ ভিক্ষে দিয়ে যাও অচলা । তাহার কণ্ঠস্বরে কি যে ছিল, তাহ অন্তর্যামাই জানেন ; অকস্মাৎ তপ্ত আশ্রতে অচলার দুই চক্ষু ভাসিয়া গেল। কিন্তু তবুও সে নিজের কণ্ঠ প্রাণপণে অবিকৃত রাখিয়া যুদ্ধস্বরে শুধু জিজ্ঞাসা করিল, আমাকে কি করতে হবে বলুন । । רמיג