পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ অঙ্ক এতক্ষণ তাহার চোখ দিয়া বিৰুতে বিন্দুতে পড়িতেছিল, সে যেন অকস্মাৎ ফুল ভাঙিয়া উন্মত্ত-ধারায় ছুটিয়া বাহির হইয়া পড়িল । কোথাও কোন শব্দ নাই, রাত্রির গভীর নীরবতা গৃহের ভিতরে-বাহিরে বিরাজ করিতে লাগিল। পিছনে দাড়াইয়া স্বরেশ পাষাণ-মূৰ্ত্তির মত স্তৰ-সহসা তাহার সমস্ত দেহটা বাতাসে বঁাশপাতার মত কঁাপিতে লাগিল, এবং চক্ষের পলক না ফেলিতেই সে দুই হাত বাড়াইয়া অচলার মাথাটা টানিয়া আনিয়া বুকের উপর চাপিয়া ধরিল। - অচলা আপনাকে মুক্ত করিয়া লইয়া জ'চলে চোখ মুছিল, কিন্তু অতি বড় বিস্ময় এই যে, যে লোকটা তাহার এত বড় দুঃখের মূল, তাহার এই ব্যবহারে আজ অচলার উৎকট ঘুণ বোধ হইল না, বরঞ্চ মূৰ্ছ-কণ্ঠে কহিল, তুমি এ ঘরে এসেচ কেন ? স্বরেশ চুপ করিয়া রহিল । বোধ করি কণ্ঠস্বরের অভাবেই সে জবাব দিতে পারিল না । অচলা ধীরে ধীরে জানালাটা বন্ধ করিয়া দিয়া কহিল, শীতে তোমার হাত কাপচে, যাও, খালি-গায়ে আর দাড়িয়ে থেকে না-ঘরে গিয়ে শুয়ে পড় গে। স্বরেশের চোখ জলিয়া উঠিল, কিন্তু তাহার গলা কঁাপিতে লাগিল—অচলার হাতখানি নিজের হাতের মধ্যে টানিয়া অফুটম্বরে বলিল, তা হলে তুমিও আমার ঘরে এসে । অচলা মূহূৰ্ত্তকাল নিৰ্ব্বাক বিস্ময়ে তাহার মুখের প্রতি চালিয়া থাকিয়া শুধু কহিল, না, আজ নয়। এই বলিয়া ধীরে ধীরে নিজের হাত ছাড়াইয়া লইল । এই শাস্ত সংযত প্রত্যাখ্যানের মধ্যে ঠিক কি ছিল, তাহ নিশ্চয় বুঝিতে না পারিয়া সুরেশ চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। অচলা তাহার প্রতি না চাহিয়াই পুনশ্চ কহিল, আমি জেগে আছি জানতে পেরে কি তুমি এ-ঘরে ঢুকেছিলে ? স্বরেশ আহত হইয়া বলিগ, নইলে কি তোমাকে ঘুমন্ত জেনেই ঢুকেছি, এই তুমি আশা কর ? আশা! আচগা মূখ ফিরাইয়া একটুখানি হাসিল । এই তীক্ষ কঠিন হালি দীপের অত্যন্ত ক্ষীণ আলোকেও সুরেশের চক্ষু এড়াইল না । সে হাসি যেন স্পষ্ট কথা কহিয়া বলিল, ওরে কাপুরুষ ! নিদ্রিত রমণীর কক্ষে চোরের মত প্রবেশ করিতে । নাই, পুরুষের এ মহত্ব কি তুমি আজও দাবী কর । কিন্তু মুখে কোন কথাই কহিল না । ক্ষণেক পরে গবাক্ষ ছাড়িয়া উঠিয়া দাড়াইয়া আস্তে আস্তে বলিল, তোমার শরীর ভাল নেই, জার রাত জেগে৷ মা—যাও শোও গে। বলিয়া লে ধীরে ধীরে বিছানায় धानिशा गाcबब कदनं यात्राcशाङ्गा भूज़ि नेिब्रा उहेब नफ़िश । ծԵ-ն,