পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृंश्लोश् এবং তাহার পিঠের উপর দিয়া পল্পী-পথের কতকটা অংশ স্পষ্ট দেখা যাইতেছে । বাবা, তোমার চা-টা এইবার নিয়ে আসি গে ? কেদারবাৰু ফিরিয়া চাহিয়া কহিলেন, এর মধ্যে নিয়ে আসবে মা ! বাঃ--বেলা বুঝি আর আছে ? তিনি একটু হাসিয়া বালিসের তলা হইতে ঘড়িটি বাহির করিয়া বলিলেন, কিন্তু এখনো যে তিনটে বাজেনি মা ! মৃণাল কহিল, নাই বাঙ্গলো বাবা তিনটে ; ওবেলা যে তোমার মোটেই খাওয়া হয়নি । কেদারবাবু মনে মনে বুঝিলেন, আপত্তি নিষ্ফল । তাই বলিলেন, আচ্ছা জানো। মৃণাল মুহূৰ্ত্তকাল স্থির থাকিয়া কহিল, আচ্ছা বাবা, তুমি যে বল, তুমি গরম চি ড়ে বডড ভালোবাসো ? কথাটা ত মিছে বলিনে মা । তবে, তাও দুটি আনি ? তাও আনবে ? আচ্ছা আনো গে, বলিয়া তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া জোর করিয়া একটু হাসিলেন । মৃণাল চলিয়া গেলে আবার সেই জানালাটার বাহিরে দৃষ্টিপাত করিতে গিয়াই দেখিলেন, সমস্ত ঝাপা অস্পষ্ট হইয়া গিয়াছে ; পরক্ষণেই পাঁচ-ছয় ফোটা তপ্ত অশ্র টপ টপ করিয়া তাহার কোলের উপর ঝরিয়া পড়িল । ব্যস্ত হইয়া জামার হাতায় বৃদ্ধ জলের রেখা-দুটি মুছিয়া ফেলিয়া মুখখানি শান্ত এবং সহজ দেখাইবার চেষ্টায় এমাদনের খোলা বইটা চোখের স্বমুখে তাড়াতাড়ি মেলিয়া ধরিলেন । তাহার পাতার ভিতরে যাই থাকৃ, মনের মধ্যে এই কথাটারই ছাপ পড়িতে লাগিল, এ কি আশ্চৰ্য্য অজ্ঞেয় ব্যাপার এই স্বাক্টট ! সংসারের দিনগুলা যখন গণনার মধ্যে আসিয়া ঠেকিল, তখনই কি এই দীর্ঘ জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতা, সকল আয়োজন বাতিল করিয়া আবার নূতন করিয়া অর্জন করিবার প্রয়োজন পড়িল । বেশ দেখিতেছি, আমার মানব-জন্মের সমস্ত অতীতটাই একপ্রকার ব্যর্থ হইয়া গিয়াছে— অথচ এ-কথা বুঝিতেও ত বাকী নাই, এই স্থদীর্ঘ ফাকি ভরিয়া তুলিতে এই একটা মাসই যথেষ্ট হইল । স্বারে পদশৰ শুনিয়া মুখ তুলিয়া চাহিলেন। মৃণাল পাথর-বাটিতে চা এবং রেকাবিতে চিড়ে-ভাজা লইয়া প্রবেশ করিল। দুই হাত বাড়াইয়া সেগুলি গ্রহণ করিতে করিতে কহিলেম, আজ খাওয়া যে ভাল হয়নি তা এখন টের পাচ্চি। क्खुि ८थं यां না বাবা, তুমি কথা কইতে শুরু করলে সব জুড়িয়ে যাবে। १३$