পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (সপ্তম সম্ভার).djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ আজ দ্বাণী। সকাল সকাল স্নান করিয়া অনুপমা পূজা করিতে লাগিল। তখনও পনের মিনিট হয় নাই ; বড়বধু ঘরের বাহির হইতেই একটু বড় গলায় বলিলেন, ঠাকুরবি, তোমার কি আজ সমস্তদিনে হবে না ? এমন করে চলবে না বাপু । অনুপমা শিবের মাথায় জল দিতেছিল, কথা কহিল না; বড়বন্ধু দশমিনিট পরে পূনৰ্ব্বার ঘুরিয়া আসিয়া সেইখান হইতেই চীৎকার করিলেন—অত পুণ্য ছালায় আটবে না গো, অত পুণ্যি ক’রো না-জার অত পুণ্যি-ধর্শের সখ থাকে ত বনে-জঙ্গলে গিয়ে কর গে, সংসারে থেকে অত বাড়াবাড়ি সইতে পারা ষায় না । তথাপি অনুপমা কথা কহিল না। বড়বে দ্বিগুণ চেচাইয়া উঠিলেন—বলি, কেউ খাবে দাবে-না, না ? অকুপমা হস্তস্থিত বিল্বপত্র নামাইয়া রাখিয়া বলিল, আমার অস্থখ হয়েচে, আজ আমি কিছুই পারব না। “ পারবে না ? তবে সবাই উপোস করুক ? কেন, আমি ছাড়া কি লোক নেই ? ঠাকুরের কি হ’ল ? তার জর হয়েচে—আর উনি ঠাকুরের রান্না খেতে পারেন ? না পারেন—তুমি রোধে দাও গে। জামি রাধব ? মাথার যন্ত্রণায় প্রাণ যায়, একটা কবিরাজ চব্বিশ ঘণ্ট। আমার পিছনে লেগে আছে—আর আমি আগুনের তাতে যাব ? অনুপমা জলিয়া উঠিল। বলিল, তবে সবাইকে উপোস করতে বল গে। তাই যাই—তোমার দাদাকে এ কথা জানাই গে। আর তোমার অমুখ হবে কেন ? এই নেয়ে-ধুয়ে এলে, এখনি গিলবে কুটবে, আর বড় ভাইকে একটু রোধে খাওয়াতে পার না ? না, পারিনে। বড়বে, আমি তোমাদের কেনা বাদী নই যে, যা মুখে আসবে তাই বলবে। আমি এ-সব কথা দাদাকে জানাব। বড়বে মুখভঙ্গী করিয়া বলিল, তাই জানাও গে—তোমার দাদা এসে আমার মাথাটা কেটে নিয়ে যাক ! অনুপমা কিছুক্ষণ স্তন্ধ হইয়া রহিল ; তাহার পর বলিল, তা জানি, দাদা ভাল হলে আর তোমার এত সাহস ! কেন, তিনি করেচেন কি ? খেতে দিচ্চেন, পরতে দিচ্চেন-জাবার কি করবেন। সত্যি সত্যি ত আর আমাকে তাড়িয়ে দিয়ে তোমায় মাথায় করে রাখতে পারেন না —এজস্ত আর মিছে রাগ করলে চলবে কেন ? সমস্ত বস্তুরই সীমা আছে। অনুপমার সহিষ্ণুতারও সীমা আছে। সে এতদিন যাহা বলে নাই, আজ তাহ বলিয়া ফেলিল ; বলিল, দাদা আমাকে Woof,