পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভক্ত আমরা না দেখে চলে না যাই। তোমার এই সৌন্দৰ্য্য তোমার কত ভক্তের জীবন থেকে কত রং নিয়ে যে মানবলোকের আনন্দ কানন সাজিয়ে তুলেছে তা যে দেখেছে সেই মুগ্ধ হয়েছে—অহঙ্কারের অন্ধতা থেকে যেন এই দেবদুলভদৃপ্ত হতে বঞ্চিত না হই । যেখানে তোমার একজন ভক্তের হৃদয়ের প্ৰেমস্রেতে তোমার আনন্দধারা একদিন মিলেছিল আমরা সেই পুণ্যসঙ্গমের তীরে নিভৃত বনচ্ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছি—মিলনসঙ্গীত এখনো সেখানকার স্বৰ্য্যোদয়ে সুর্য্যাস্তে, সেখানকার নিশীথরাত্রের নিস্তব্ধতায় বেজে উঠ চে–থাকৃতে থাকৃতে শুনতে শুনতে সেই সঙ্গীতে আমরাও যেন কিছু সুর মিলিয়ে যেতে পারি এই আশীৰ্ব্বাদ কর— কেননা জগতে যত মুর বাজে তার মধ্যে এই সুরই সব চেয়ে গভীর, সব চেয়ে মিষ্ট, – মিলনের আনন্দে মামুষের আত্মার এই গান, ভক্তিবীণায় ○○