পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিরনবীনতা নবজন্মলাভ না হত তাহলে ধূলার পর ধূলা আবর্জনার পর আবর্জন কেবলি জমে উঠত—চেষ্টার ক্ষোভে, অহঙ্কারের তাপে, কৰ্ম্মের ভারে তার চিরন্তন সত্যটি আচ্ছন্ন হয়ে থাকত। তাহলে কেবলি মধ্যাহ্নের প্রখরতা, প্রয়াসের প্রবলতা, কেবলি কাড়তে যাওয়া, কেবলি ধাক্কা খাওয়া, কেবলি অন্তহীন পথ, কেবলি লক্ষ্যহীন যাত্রা–এরই উন্মাদনার তপ্ত বাষ্প জমৃতে জম্তে পৃথিবীকে যেন একদিন বুদ্ধদের মত বিদীর্ণ করে ফেলত। এখনো দিনের বিচিত্র সঙ্গীত তার সমস্ত মুর্ছনার সঙ্গে বেজে ওঠেনি। কিন্তু এই দিন যতই অগ্রসর হবে, কৰ্ম্মসংঘাত ততই বেড়ে উঠতে থাকবে, অনৈক্য এবং বিরোধের মুরগুলি ক্রমেই উগ্র হয়ে উঠতে চাইবে,— দেখতে দেখতে পৃথিবী জুড়ে উদ্বেগ তীব্র, ক্ষুধাতৃষ্ণার ক্ৰন্দনম্বর প্রবল এবং প্রতি যোগিতার ক্ষুব্ধ গর্জন উন্মত্ত হয়ে উঠবে। چاہتا ՎԶ