পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন তারাই প্রচণ্ড এই কথাই কেবল মনে হতে থাকে। তেমনি সংসারে অনৈক্যকে বিরোধকেই সব চেয়ে প্রবল বলে মনে হয়—তা ছাড়া আর যে কিছু আছে তা কল্পনাতেও আসেন। কিন্তু প্রভাতের মুখে একটি মিলনের বার্তা আছে যদি তা কান পেতে শুনি তবে শুনতে পাব এই বিরোধ এই অনৈক্যই চরম নয়— চরম হচ্চেন অদ্বৈতম্। আমরা চোখের সামনে দেখতে পাই হানাহানির সীমা নেই, কিন্তু তার পরে দেখি ছিন্ন বিচ্ছিন্নতার চিহ্ন কোথায় ? বিশ্বের মহাসেতু লেশমাত্রও টলেনি। গণনাহীন অনৈক্যকে একই বিপুল ব্ৰহ্মাণ্ডে বেঁধে চিরদিন বসে আছেন, সেই অদ্বৈতম্ সেই একমাত্র এক। আদিতে অদ্বৈতম, অস্তে অদ্বৈতম, অস্তরে অদ্বৈতম্৷ ৷ মানুষ যুগে যুগে প্রতিদিন প্রাতঃকালে দিনের আরম্ভে প্রভাতের প্রথম জাগ্ৰত আকাশ থেকে এই মন্ত্রটি অস্তরে বাহিরে শুনতে 8&