পাতা:শান্তিনিকেতন (দশম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্ববোধ হয়ে মূৰ্ত্তি ধারণ করে সেখানেই তার প্রতিকারের শক্তি সম্পূর্ণ বেগে প্রবল হয়ে ওঠে। আজ যে সকল দেশ স্বজাতি স্বরাজ্য সাম্রাজ্য প্রভৃতি নিয়ে অত্যন্ত ব্যাপৃত হয়ে আছে তারাও বিশ্বের ভিতর দিয়ে সেই পরম একের সন্ধানে সজ্ঞানে প্রবৃত্ত নেই, তারাও সেই একের বোধকে এক জায়গায় এসে আঘাত করচে কিন্তু তবু তারা বৃহতের অভিমুখে আছে ---একটা বিশেষ সীমার মধ্যে ঐক্যবোধকে তারা প্রশস্ত করে নিয়েছে, সেইজন্তে জ্ঞানে ভাবে কৰ্ম্মে এখনো তারা ব্যাপ্ত হচ্চে, তাদের শক্তি এখনো কোথাও তেমন করে অভিহত হয়নি—তার চলেছে তারা বদ্ধ হয়নি। কিন্তু সেই জন্তেই তাদের পক্ষে সুস্পষ্ট করে বোঝা শক্ত পরম পাওয়াট কি ? তারা মনে করচে তারা যা নিয়ে আছে তাই বুঝি চরম–এর পরে বুঝি আর কিছু নেই—যদি থাকে মানুষের তাতে প্রয়োজন নেই। তারা মনে করে