পাতা:শান্তি-পাগল.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তি-পাগল । 33 নাকে বড় বলিয়া মনে করি, তাহ হলে সেই মূহূর্ত হইতেই আমার পত্তন আরম্ভ হইবে। কারণ আপনাকে বড় বলিয়া ভ্ৰম জন্মিলে মাহৰ আর অগ্রগর ইত্তে পারে না। সেই স্থানেই তাহার উৰ্বগামিনী গতি রুদ্ধ হয়। অভিমানিত ব, আজুভিমান মানুষকে মোহাবৃত্ত করিয়া ফেলে। সে তোমার সহিত তুলনায় নিজের ক্ষুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্রত্ব আর বুঝতে পারে না। আপনাকে সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় বলিয়া মনে করে । এই মোহে আচ্ছন্ন হইয়াই হিরণ্যকশিপু, দশানন ও দুৰ্য্যোধন প্রভৃতি আত্মহারা পড়িয়। মারা গিয়াছিলেন । তুমি দর্পহারী নাথ! দৰ্প দেখিলেটু ভূমি চূৰ্ণ করিয়া থাক। এই দর্প ও অভিমান যে শুদ্ধ ব্যক্তিগত হয় এরূপ নহে। ইহা জাতিগত ও বংশগত ও হইয়া থাকে । ষে জাতিভে বা ষে বইশে এই দৰ্প ও অভিমান সংক্রামিড হুইয়াছে, সে জাতির বা বংশের পতন জনিবর্ষ্য। দৃপ্ত ও অভিমানী ব্যক্তির ন্যায়, দৃপ্ত ও অভিমানী বংশ ও জাতিকেও তুমি সমুচিত দণ্ড দিয়া থাক। যতক্ষণ না তাহার। আবার আপনদিগকে তোমার চরণের রেণুকণারও মধম বলিয়া মনে করে, তত্ত্বক্ষণ

তুমি ভাহাদিগকে উঠিতে দেওনা । দেব ! আমি প্রভাক্ষ দেখিতেছি ষে

হিন্দু জাতির মধ্যে আত্মমানিত ও জাত্যভিমান অতিশয় প্রবল হওয়ায়, তুমি ভাহাদিগকে দণ্ড দিবার নিমিত্তই প্রথমে যবনদিগের এবং পরে শ্বেত পুরুষগণের শাসনাধীনে রাৰিয়াছ। দর্প ও অভিমান চূৰ্ণ কৰুির জন্যই আমাদিগকে পুনঃ পুন: অপমানিত ও পদ-দলিত হইতে দিয়াছ । আমরা এই আত্মাভিমানে অন্ধ হইয়া জগতের আর সকল জাভিকেই " ঘৃণা করি এবং এই জাভ্যাভিমানন্তরে অভিভূতবিবেক হইয়া পরস্পর পরস্পরকে নির্যাক্তন করি বলিয়াই তুমি এখনও আমাদিগকে শ্বেত প্রহরগণের পাহারায় রাখিয়া দিয়াছ ! কিন্তু নাথ ! ইয়াতেও ভ জামা । দিগের চৈতষ্ঠ হইল না। . এখনও আমরা জাত্যভিমানে অন্ধ হইয়া পরস্পর পরস্পকে নির্বাভিত করিয়া থাকি। সকলই তোমারই ཤྭ། সকলই ভূমি—এ জ্ঞান হার ক্ষরিত হইয়াছে—তিমি কি কখন কাহাকে ঘৃণা করিতে পারেন ? তিনি কি আত্মাভিমানে অন্ধ হইয়া কাহাকেও নির্যাতন করিতে পারেন ? তিনি কাহাকে ঘৃণা করিবেন—কাহাকেই•