পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত

করিয়া...•••কোর্টে প্র্যাকটিশ করিতেছেন। তাঁহার সাহিত্যচর্চ্চার দিকে বেশী মন থাকায় অর্থোপার্জন কিছুই হয় না। কমলা ম্যাট্রীক পাশ করিয়া ডাক্তারী পড়িবার জন্য পশ্চিমে কোথায় গিয়াছে। তাহার মাতা কলিকাতার বাড়া ছাড়িয়া এখন কমলার সহিতই সেখানে থাকেন। নন্দ দাদা তখন ও বিবাহ করেন নাই।

 আমি তাহাকে মাঝে মাঝে আসিতে অনুরােধ করিলাম। উপেন বাবু বলিলেন “তােমার কাছে যে উদ্দেশ্যে আসা, তা'ত হয়ে গেল। আর মদ কিনবেন না, বাস, আর ত কোন প্রয়ােজন নাই।” উপেন বাবু বিছানা হইতে উঠিলেন। আমি তাহাকে কিছু খাইবার জন্য কত মিনতি করিলাম কিন্তু তিনি কিছু খাইলেন না—একটা পান পর্য্যন্ত না। এমন চরিত্রবান যুবক কর্ম্মী ও আমাদের সংস্পর্শে আসিয়াছেন, যাঁহারা পাপীর সংস্পর্শে আসিয়াও পাপ হইতে দূরে থাকিতে সমর্থ হইয়াছেন।

 আমার ঘরে আর মদ আসিত না। বাবুর বন্ধুগণ অসন্তুষ্ট হইলেন— বাবুও রাগ করিলেন। উপেন বাবুর কাছে আমি চিঠিপত্র লিখিতাম— সে তাহার সংক্ষিপ্ত উত্তর দিত। আমার বাবু ইহা সন্দেহের চক্ষে দেখিতেন। সুতরাং আমাদের মধ্যে মনােমালিন্য দিন দিন বাড়িয়া উঠিল।

 নন্দদাদার এই বন্ধুটী আমার পরিচিত। বাল্যকালে তাহাকে আমাদের বাড়ীতে অনেকবার দেখিয়াছি। তিনি নন্দনাদার প্রতিবেশী এবং দূর সম্পর্কিত আত্মীয়। নন্দদাদাকে আসিবার জন্য অনেকবার বলিয়া দিয়াছি, কিন্তু তিনি আমার এই পরিণাম শুনিয়া আর আমার নিকট আসেন নাই।

 দুই তিন মাসের মধ্যেই আমার এই পাধ্যায় বাবু আমাকে ছাড়িয়া দিলেন। যে অভিনেত্রীর সহিত তাঁহাকে হাস্য পরিহাস করিতে দেখি-