পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭০
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত

কর্ম্মী পদ্ম সরকারের নিন্দা আরম্ভ করিলেন―তার নাকি কোথায় দুই একটা রক্ষিতা আছে, তাহার কথা, তাহার জাল জুয়াচুরির কথা তুলিয়া তাহাকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করিলেন। মিঃ ঘোষ ইহার প্রতিবাদ করিলে, অন্য এক দেশকর্ম্মী মিঃ ঘোষকে পর্য্যন্ত আক্রমণ করিতে ছাড়িলেন না। তিনি ইহাও বলিতে একটু ইতস্ততঃ করিলেন না যে, দেশবন্ধু এদের লাই দিয়ে বড় করে বড়ই ভুল করেছিলেন। দেশবন্ধু ভুল করিয়াছিলেন―এ কথাটাতে আমার প্রাণে যেন কেমন লাগিল, তখন আমিই ইহার প্রতিবাদ করিয়া বলিলাম―দেশবন্ধু ভুল করিয়াছিলেন কি ঠিক করিয়াছিলেন তাহা তোমার আমার মত লোকের বুঝিবার শক্তি নাই―সে অগাধ সমুদ্রের তলস্পর্শ তোমার আমার মত লোকের কাজ নয়। তিনি কাহারও উপর কোন কার্য্য বিশেষের জন্য বিদ্বেষ বা প্রতিহিংসা পোষণ করিতেন না। তিনি লোক চিনিতে পারিতেন বলিয়াই এমন লোকও স্থান দিয়াছিলেন! যেমন―কুস্তিগির পালোয়ানকে আয়ত্ত করিতে হ’লে কুস্তিগির পালোয়ানের প্রয়োজন, তেমনি এই লোক দ্বারাও তিনি তার উপযুক্ত কাজ করাইবার জন্য রাখিয়াছেন।

 এর পরও তিনি জেদ ছাড়িলেন না, বলিলেন “এ যে বিশ্বাসঘাতক”―সেই প্রমাণ বোধ হয় দেশবন্ধু পান নাই। এখন তার মুক্তি বাহির হইয়া গিয়াছে―মহারাজা ক্ষৌণিশের কাছে গোপনে দলের খবর এ লোকটাই দিত।...তারা দিদির প্রণয়ীর এ অপমানটাতে আমার মনটা যেন কেমন হইয়া গেল―প্রকাশ্যে বলিলাম―আচ্ছা আপনারা শ্লীলতার বাহিরে যান কেন?