পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
টী-পার্টি
১৭৫

জামা কাপড় এবং পায়ে স্যাণ্ডেল দেখিয়া মনে মনে বড় বিরক্ত হইলাম। কারণ নিন্দিত পল্লীতে থাকিতেও এই প্রকারের খদ্দর পরিহিত বহু যুবক, প্রৌঢ়ের সাক্ষাৎ ঘটিয়াছে, কিন্তু তাহাদের দ্বারা আয় হইয়াছে সামান্য। পুলিশগুলি যেমন ঐ সকল পল্লীতে তাহাদের পোষাকের দাপটে কাজ সারিয়া যায়, খদ্দর পরিহিত দেশকর্ম্মী ভলাণ্টিয়ার নামধারী অনেক যুবকও বলে―আমরা দেশের কাজে ব্রতী, পয়সা পাব কোথায়? অনেক কবি, এবং সাহিত্যিকের দলও রিয়েলিষ্টিক আর্টের খোঁজে নিন্দিত পল্লীতে যাইয়া মার্জ্জিত কথা বলে, এবং বিনা খরচায় আর্টের স্বরূপ বুঝিতে চেষ্টা করে, সুতরাং আমার বিরক্ত হওয়াটা যে খুব অন্যায় হইয়াছে তাহা অন্ততঃ কোন ব্যবসায়ী লোক মনে করিবেন না।

 সেদিন শিষ্টতার খাতিরে একটা গান গাহিলাম। আমার পরে অন্য দুই একজনও গান ধরিলেন। গান শেষ হইলে নারী নিগ্রহের কথা উঠিল―সকলেই ইহার জন্য তীব্র মন্তব্য প্রকাশ করিলেন। মন্তব্য প্রকাশের প্রধান কারণ মুসলমান সমাজের নীরবতা। একজন মুসলমান ভদ্রলোক ইহার প্রতিবাদ করিয়া যাহা বলিলেন, তাহার সারমর্ম্ম এই―হিন্দু নারীগণই মুসলমানদের সঙ্গে যায়, ইহা মুসলমানদের দোষ নহে। মৌলবী আক্রাম খাঁ ও এই প্রকার কথাই তাঁহাদের আহুত প্রতিবাদ সভায় বলিয়াছিলেন। এই পার্টি যেদিন হইয়াছিল তাহার কয়েকদিন পূর্ব্বের কাগজেই ময়মনসিংহ সহরের ওভারসিয়ার শিক্ষিত মুসলমান আব্দুল রহিমের অবিবাহিতা কন্যা এবং কটিহাদি থানার