পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৭৮
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত

উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে যৌনলিস্পা চরিতার্থ করিতে না পারিয়া প্রবৃত্তির তাড়নায় হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হইয়া অবৈধ প্রেমে মজিয়া নিন্দিত পল্লীতে আশ্রয় লইতে বাধ্য হইয়াছে―তাহাদের কথাই মনে হইল। মনে হইল যাহারা নিজেদের কলঙ্ক ঢাকিয়া রাখিতে পারে নাই তাহারাই ত এখানে আসিয়াছে, তাহারা ত সমাজের অতি সামান্য অংশ মাত্র। এ প্রকার গুপ্ত প্রেম কয়টা ধরা পড়ে? হাজারে দু-একটা বইত নয়?

 প্রকাশ্যে বলিলাম―প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে রজোদর্শনের সঙ্গে সঙ্গেই যখন মেয়েদের প্রবৃত্তি জীগরিত হয়, তখন ইহার পুর্ব্বেই বিবাহ দেওয়া উচিত। মৌলবী সাহেব বলিলেন―মিস্‌ মুখার্জ্জির মুখে এমন উত্তরের আশা আমরা করি নাই। আমি বলিলাম―আমি কেন―ঐ সেদিন যে নারীবাহিনী সর্দ্দার বিল সমর্থন করিতে টাউনহলে গিয়াছিল, তাহাদের যাইয়া গোপনে জিজ্ঞাসা করুন, তাহারাও আমার মতেরই প্রতিধ্বনি করিবে। আমি আর নিজেকে সামলাইতে পারিলাম না―ঢাকার ছাত্রী নিবাসের ভ্রূণহত্যা, দাস, গুহ পরিবারের অবৈধ বিবাহ প্রভৃতি কতকগুলি বড় ঘরের দৃষ্টান্ত দেখাইয়া দিলাম। সৈয়দ হুসেনের সঙ্গে নেহরু কন্যার পলায়নের কথাটাও বলিয়া ফেলিলাম।

 শাস্ত্র আমি জানি না, জানিতেও চাহি না, কিন্তু প্রাণে ক্ষুধা থাকিলে যদি সুধার পাত্র সম্মুখে পায় তবে এমন বীর নারী কয়জন আছে যে বৎসরের পর বৎসর তাহা গ্রহণ না করিয়া মুখ ফিরাইয়া চলিয়া যায়? ইংলণ্ড, আমেরিকায় কি দেখিতেছি, সেখানে প্রতিশতে কুড়িটা ছাত্রী বিবাহের পূর্ব্বে সন্তান প্রসব