পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভুল ভাঙ্গিল
৫৭

 এত কথা তখন আমার মনে আসে নাই। কারণ ভোগলালসা যা’র সৃষ্টি, সেই সয়তান সমস্ত ভুলাইয়া রাখে। সুখের স্বপ্নে বিভোর গন্ধর্বব দম্পতী অথবা কিন্নর মিথুনের মত আকাশের মধ্য দিয়া চলিয়াছি—মাটীতে আর পা পড়িতেছে না।

 লাহোর হইতে আমরা অমৃতসরে যাই। সেখানে তিনদিন থাকিয়া কাশ্মীর যাত্রা করি। শ্রীনগরে আমরা প্রায় একমাস থাকি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য অতিশয় মনোরম তাহা সকলেই জানেন। আমাদের নূতন প্রেমের বন্যা এখানে খুব উছলিয়া উঠিল।

 বোম্বাই আসিলাম। আমার ভয় ক্রমশঃ কাটিয়া গেল। প্রথমে যে সকল বিপদের সম্ভাবনা দেখিয়াছিল, এখন তাহ! দূর হইল! পুলিশের ভয় নাই। রমেশ-দা খুব চতুর ও হুসিয়ার লোক। যদিও মুকুলদার চিঠিতে জানিয়াছিলাম, বাবা পুলিশে এজেহার দেন নাই, তথাপি তিনি যেখানেই যাইতেন, সেইখানে প্রথম থানার পুলিশ কর্ম্মচারীদের সহিত আলাপ পরিচয় করিতেন। গ্রেপ্তারী পরওয়ানার কোন গন্ধ পাইলে সময় থাকিতে সরিয়া পড়িবেন, এই তাঁহার মতলব ছিল।

 স্কুলে, নীচের ক্লাসে পড়িতেই আমি ইংরাজীতে বেশ কথা কহিতে পারিতাম। মুকুলদার শিক্ষায় ও রমেশ-দার সঙ্গে থাকিয়া এই বিষয়ে আমার আরও উন্নতি হইয়াছিল।

 হোটেলে আমরা সাহেবী ষ্টাইলে থাকিতাম। আমি পার্শী মেয়েদের ধরণে কাপড় পড়িতাম। সকলের সঙ্গে মেলামেশা করিতে আমার ইংরাজী কথা বিশেষ সহায় হইয়াছিল। বিদেশের