পুলিশ রমেশদার বোম্বাই ও কাশীর ঠিকানা পাইয়াছে। গোয়েন্দা পুলিশ রমেশদার পিছু লইয়াছে।
আমার শরীর ভয়ে কাঁপিতে লাগিল। তারপর রমেশদার উপর আমার অমানুষিক ক্রোধ ও ঘৃণার উদয় হইল। আমি কিছু বুঝিনা বলিয়া আমার সহিত এত প্রতারণা—আমি প্রাণ দিয়া ভাল বাসিয়াছি, বিশ্বাস করিয়াছি, তার প্রতিদান বুঝি এই জঘন্য ব্যবহার। আমি স্তব্ধ হইয়া রহিলাম।
সন্ধ্যার পরে রমেশ-দা আসিলেন। অতিরিক্ত মদ্যপানে তিনি মত্ত হইয়াছেন—চোখ দেখিয়া বুঝিতে পারিলাম। আমি কঠোর স্বরে কহিলাম “রমেশদা, তুমি যে চা’রমাসের ছুটী নিয়েছিলে, তার উপর আরও একমাস হয়ে গেল, অথচ”— আমার কথা শেষ না হইতেই রমেশ-দা জড়িত কণ্ঠে কহিল “সে কৈফিয়ৎ কি তোর কাছে দিতে হবে নাকি? —তুই কি আমার মনিব?” আমি বলিলাম, কৈফিয়ৎ চাহিনা, কারণ-ত আমার বলতে পার!
রমেশ। —আমি আরও তিন মাসের ছুটীর দরখাস্ত করেছি। এইবার সন্দেহ মিটেছে?
আমি। —সন্দেহ নয় রমেশদা, তুমি জান, হাতের টাকা সব ফুরিয়ে গেছে। আর এক সপ্তাহও চল্বে না। যদি তুমি এখন কলকাতায় ফিরে না যাও, তবে অন্ততঃ ছুটীর মাসের বেতনটাও আনাতে পার। সেওত আটশত টাকা হবে।
রমেশ। —সে ভাবনা তোমায় করতে হবে না। সিগারেটের প্যাকেট আর দেশালাইটা দাও ত।