পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭১
শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত
৭১

খাইতে দিলাম। কমলার চিঠিখানি তিনি আদ্যন্ত পড়িলেন। বুঝিলেন ব্যাপার গুরুতর হইয়া উঠিয়াছে।

 আমাদের প্রণয়ের নির্ম্মল আকাশে মেঘের সঞ্চার হইল। বিশ্বাসের স্থলে সন্দেহ আসিল। রমেশদাকে এক নূতন চক্ষে আমি দেখিতে লাগিলাম। তাঁহার চরিত্রের নানাদিক আমার সম্মুখে পরিস্ফুট হইয়া উঠিল— লম্পট, চোর, বিশ্বাসঘাতক, মিথ্যাবাদী, মাতাল!


পঞ্চম
পাপের পথে

 তারপর হইতে নানা খুটিনাটি লইয়া রমেশদার সহিত আমার প্রায়ই ঝগড়া হইতে লাগিল। হাতে নগদ টাকা যাহা ছিল, সমস্ত খরচ হইয়া গিয়াছে, মুকুলদার কাছে চিঠি দেওয়ায় তিনি পঞ্চাশ টাকা পাঠাইয়াছিলেন— তাহাও অতি কষ্টে। তিনি অল্প বেতনে সামান্য মাষ্টারী করেন। সেই পঞ্চাশ টাকার মধ্যে আটাশ টাকা রমেশদা মদ খাইয়া উড়াইয়াছেন। দুর্ভাগ্য যখন আসে তখন এমনই হয়। বেতন না পাইয়া বামুন ঠাকুরটি চলিয়া গিয়াছে। দুই বেলা আমিই রান্না করি। আমি রন্ধন কার্য্য জানিতাম না— কখনও শিখি নাই। অসুস্থ দেহ লইয়া আগুনের তাপে ও ধোঁয়ায় আমার প্রাণ যায় যায় হইয়া উঠিত।

 মথুরায় একটা কাজকর্ম্মের চেষ্টা দেখিতে বলিলাম। কিন্তু সে কথা রমেশদা গ্রাহ্য করিলেন না। শীতের জন্য এক সুট্,