ছোট দুইটী ছেলে নিয়ে আছে। তাদের সঙ্গে এ স্ত্রীলোকটীও থাকবে। সব ঠিক করে দাও।” শিষ্য চলিয়া গেলে তিনি আমাকে বলিলেন, “তোমার পিতা তোমায় পুনরায় গ্রহণ করবেন ব'লে, আমার মনে হয়না। তাঁকে ত সমাজ মেনে চলতে হচ্ছে। পাপ—প্রলোভনের বশীভূত হওয়া একটা আধ্যাত্মিক ব্যাধি। প্রায়শ্চিত্তের দ্বারা শুদ্ধ না হ’লে চিত্ত কিছুতেই ঈশ্বরাভিমুখী হ’তে পারেনা।”
রামকিষণের পরিবারের সহিত আমি আশ্রমের বাগানে বাস করিতেছি। রামকিষণ বাগানের তত্ত্বাবধান করে। প্রত্যহ গোয়ালঘর পরিষ্কার করা, তিনটী গাভী ও কয়েকটী বাছুরকে খৈল, ভূষি, খাওয়ান, দশ বার কলসী জল ইন্দারা হইতে তুলিয়া বাগানে দেওয়া, ঠাকুরের ভোগ রান্না করিবার পাত্রাদি মাজা, সাধুদের ভোজন হইয়া গেলে সেই স্থান পরিষ্কার করা, আমার নিজের আহারের জন্য গম পিষিয়া লওয়া আমার নিত্য কর্ত্তব্যরূপে নির্দ্ধারিত হইয়াছিল। আমি সন্তুষ্টচিত্তে এই সকল কার্য্য করিতাম। কিন্তু আমার বড় পরিশ্রম বোধ হইত। মোহান্তজীর নির্দেশ অনুসারে আমার মাথার চুল ছোট করিয়া কাটিয়া ফেলা হইয়াছিল। কেবলমাত্র প্রভাতে মঙ্গল আরতির সময় আমি মন্দির প্রাঙ্গণে যাইবার অনুমতি পাইয়াছিলাম। মোহান্তজী বাগানে আসিলে প্রয়োজন মত আমার সহিত কথাবার্ত্তা বলিতেন।
একমাস পরে আমার পিতার চিঠি আসিল। তিনি মোহান্তজীকে জানাইয়াছেন যে তিনি আমাকে গ্রহণ করিতে পারেন না। এমন কন্যাকে তিনি মৃতার ন্যায় জ্ঞান করেন। তখন তর্ক