পাতা:শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত - মানদা দেবী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পাপের পথে
৮১

আসিয়া, মাকে ডাকিল। মা উঠিয়া গেলেন। আমি চীৎকার করিয়া বলিলাম “মাগো– আমায় নিয়ে যাও,”— রামকিষণের স্ত্রী পাশের ঘর হইতে ছুটিয়া আসিল। আমি তখনও কাঁদিয়া বলিতেছি “মাগো, আমায় নিয়ে যাও গো।” এই স্বপ্নের কথা আমি মহান্তজীকে বলিয়াছিলাম। তিনি শুনিয়া বলিলেন, “তোমাকে আরও অনেক ভুগতে হবে।” আমি দীক্ষা গ্রহণ করিতে চাহিলাম। তিনি বলিলেন “মা, আমি দৈবকে অতিক্রম করতে পারিনা। দীক্ষা নেবার তোমার এখনও সময় হয় নাই।”

 আরও ছয় সাত মাস গেল। আমার আশ্রম বাস প্রায় এক বৎসর হইল। শরীর একটু ভাল হইয়াছে, এখন শ্রমের কার্য্যও নিয়মমত করিতে পারি। মোহান্তজীর শিষ্যদের মধ্যে কেহ কেহ নির্দ্দিষ্ট সময়ে বাগানে যাইয়া ঠাকুরের ভোগের জন্য তরীতরকারী ফলমূল শাকসব্জী লইয়া আসিতেন। ইহাদের একজনের সহিত কোন কথা প্রসঙ্গে আমার কুদৃষ্টি দূর হইতে মোহান্তর্জী লক্ষ্য করেন। আমি যদিও তাঁহার প্রতি কুভাবে আসক্ত হইয়াছিলাম কিন্তু তিনি ছিলেন নির্ম্মল চরিত্র। তবুও তদবধি তাঁহাকে আর বাগানে পাঠান হইত না।

 আমি এক দীর্ঘ প্রেমপত্র লিখিয়া তাঁহাকে দিবার জন্য এক দিন বেলা প্রায় দুইটার সময় আশ্রমে প্রবেশ করি। জানিতাম, তখন মোহান্তজী তাঁহার আসনে ধ্যানস্থ থাকেন। আশ্রমপ্রাঙ্গণে একটী বৃহৎ বৃক্ষের তলায় আমি দাঁড়াইয়াছিলাম। হঠাৎ দেখিলাম, মোহান্তজী আমার দিকে আসিতেছেন। আমি ভীত হইলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন “এ সময়ে তুমি আশ্রমে