পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

முன் শিখগুরু ও শিধজাতি রামঘোরিয়া এই তিনটা প্রথমে প্রাধান্ত লাভ করে । কালক্রমে ভাঙ্গীরা জাগিয়া উঠিলে ইহাদের গৌরবের লাঘব হইয়াছিল । কুনিয়া ও সুকল্প চুকিয়াও কিছুদিনের নিমিত্ত জাগিয়া উঠিয়াছিল। নিশানীরা ও সুহিদের কোনোকালে খ্যাতি লাভ করিতে পারে নাই । কাপ্তান মারে এই দল দুইটিকে মিশল বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন ; কিন্তু কোনো কোনো ঐতিহাসিক ইহাদিগকে মিশল বলিয়াই স্বীকার করিতে চাহেন না । ‘মালব্য প্রদেশে পাতিয়ালার আলহাসিংহ আমেদসহ রাণীর অনুগ্রহ লাভ করিয়! শক্তিশালী হইয়া উঠিয়াছিলেন । শিথমিশলগুলির মধ্যে সৈন্তবলে ভাঙ্গীর শ্রেষ্ঠ ছিল । তাহাদের দলে বিশ সহস্ৰ অশ্বরোধী ছিল । ছোট ছোট দলগুলিতেও দুই সহস্ৰ করিয়া অশ্বারোহী সৈন্ত থাকিত । শিখের অশ্বারোহণে পলিতা-বন্দুকচালনে দক্ষতা লাভ করিয়াছিল । পদাতিক সৈন্তের দুর্গরক্ষায় নিযুক্ত থাকিত, তাহারা যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষমতাপ্রকাশে একান্ত অসমর্থ ছিল । সে সময়ের শিখেরা কামানের ব্যবহার জানিত না । মিশলের পদাতিক শিখ কোনোরূপে একটা অশ্ব সংগ্ৰহ করিতে পারিলেই সে অশ্বারোহী সৈন্যশ্রেণীতে উন্নীত হইত । . শিখদলপতিরা মোগল ও আফগান শাসনকৰ্ত্তাদের সহিত প্রকাশুে ও অপ্রকাশু বহু সংগ্রাম করিয়াছেন। দুরাণীরাজ আমেদ সাহের স্বশিক্ষিত সৈন্যদলকে পশ্চাৎ ও পাশ্ব হইতে আক্রমণ করিয়া শশব্যস্ত করিয়া তুলিয়াছিলেন । যে আমেদ সাহের সহিত ভীষণ সংগ্রামে-‘ঘুলঘরে একদিনের যুদ্ধে পচিশ সহস্ৰ শিখ জীবন দান করিয়াছিল, দলপতিদের সম্মিলিত শক্তির নিকট পরিশেষে সেই আমেদসাহকেও পরাভব স্বীকার করিতে হইয়াছিল। আমেদসাহের মৃত্যুর পরে কুনিয়ানায়ক জয়সিংহ, রামঘোরিয়ানায়ক জসাসিংহ, ফইস্কুলপুরিয়ানায়ক কুশলসিংহ ও জাদুওয়ালিয়া নায়ক :