পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ অধ্যায় ృథా ఫిఁ পরিচয় দিয়াছেন ; মুসলমান ও হিন্দুদের প্রতি র্তাহার কোনো বিদ্বেষ ছিল বলিয়া মনে হয় না । জাতিবর্ণ-নির্বিচারে সর্বসম্প্রদায়ের গুণীরা তাহার দরবারে স্থান পাইয়াছিলেন । মুসলমান-রাজশক্তি শিখধৰ্ম্মের অভু্যুথানের পর হইতেই নব ধৰ্ম্মটিকে সমূলে উৎপাটনের চেষ্ট্র} পাইয়াছিল বলিয়া মুসলমান ও শিখ পরস্পরকে ঘৃণা করিত। হরগোবিন্দ, প্রমুখ শিখগুরুদের শাসনকালে এই বিদ্বেষবুদ্ধি এমন উগ্রভাব ধারণকরিয়াছিল যে, শিখেরা তখন মুসলমানকে অভিবাদন, মুসলমানের সহিত কোনোস্থত্রে বিন্দুমাত্র যোগরক্ষা অধৰ্ম্ম বিবেচনা করিত । শেষগুরু গোবিন সিংহ পঞ্চনদ প্রদেশ হইতে মুসলমানশাসনের উচ্ছেদসাধনার্থ কঠোর সংগ্রাম করিলেও তিনি এই সঙ্কীর্ণতার হাত হইতে উপরে উঠিয়াছিলেন, তাহার অধীনে বহু মুসলমান সৈনিকের কার্য্য। করিত । তাহারও বিরুদ্ধে গ্রিফিন সাহেব এই অভিযোগ উত্থাপন করিয়া থাকেন যে, তিনিও মুসলমানকে সম্মানজনক পদপ্রদানের বিরোধী ছিলেন। গ্রিফিন সাহেবের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক কোনো যুক্তি আছে বলিয়া আমরা বিশ্বাস করি না । মহারাজ রণজিতের রাজত্বে শাসন ও বিচারবিভাগের উচ্চপদগুলি । মুসলমান ও ব্রাহ্মণেরাই পাইয়াছিলেন । শিখসর্দারদিগকে শাসনকাৰ্য্যে নিযুক্ত না করিবার পক্ষে একটি হেতুও ছিল । রণজিতের সময়ে শিখেরা ভূমিকৰ্ষণে ও অসিচালনে যেমন দক্ষ ছিল, শাসনকার্ঘ্যে তাহার তেমনি অজ্ঞ ছিল। দুই একজন প্রতিভাশালী ব্যক্তি কোনোরূপ শিক্ষা না পাইয়াও শাসনদক্ষতার পরিচয় প্রদান করিতে পারেন , কিন্তু সাধারণ লোকে তাহ পারে না । ভারতবর্ষীয় মুসলমান এবং হিন্দুর দীর্ঘকাল, রাজকার্ধ্যে নিযুক্ত ছিলেন, তাহাদের বংশধরেরা আরাধিক শাসনক্ষমতা লইয়াই জন্মগ্রহণ করিয়া থাকে। রণজিতের সময়ে শিশ্নদিগের উক্তরূপ: