পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ y শিখগুরু ও শিখঞ্জাতি তিনি স্বয়ং সুযোগক্রমে কয়েকজন য়ুরোপীয় কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত করিয়াছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে মহারাজ যে কয়জন যুরোপীয় যোদ্ধাকে সহযোগিরূপে লাভ করিয়াছিলেন, তাহারা সকলেই রণদক্ষ এবং দীর্ঘকাল যুদ্ধবিভাগে কাৰ্য্য করিয়া অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছিলেন। উক্ত যুদ্ধবিশারদ সেনানায়কগণের সহায়তায় রণজিতের বিজয়বাহিনী গঠিত হইয়াছিল । স্বভাব-বীর শিখের অল্পদিন মধ্যে সুশিক্ষাগুণে সংযত, কষ্ট-সহিষ্ণু ও যুদ্ধ-কুশলসৈন্সে পরিণত হইল। শিখপদাতিকের যুদ্ধ-কৌশলে পৃথিবীর যে কোনো সুশিক্ষিত সৈন্ত-দলের সমতুলা হইয়া উঠিল । তাহারা যুদ্ধযাত্রায় বাহির হইয়া প্রত্যহ ত্রিশ মাইল হিসাবে কুচ্ করিয়া অগ্রসর হইতে পারিত । - পূৰ্ব্বে অনেক স্থানে বলা হইয়াছে, শিখ-অশ্বারোহীরা আফগানরাজাদের সৈন্তদিগকে পশ্চাৎ হইতে আক্রমণ করিত, খাদ্য ও অস্ত্রাদি লুণ্ঠন এবং পথরোধ করিয়া তাহাদিগকে বিপন্ন করিয়া তুলিত। তখন তাহারা দ্রুতপলায়নে যতদূর দক্ষতা প্রকাশ করিত, যুদ্ধে তেমন নৈপুণ্য প্রকাশ করিতে পারে নাই । রণজিতের সৈন্যদল শৌর্যবীর্য্যে, সাহসে ও সহিষ্ণুতায় যুরোপীয় সৈন্যদলের বিস্ময়োৎপাদন করিল। মহারাজের সৈন্তদলে পদাতিক সৈন্তেরাই প্রাধান্ত লাভ করিল। শিখের স্বভাবতঃ যুদ্ধানুরাগী ছিল বলিয়া তাহারা স্বেচ্ছায় সৈন্যদলে প্রবেশ করিত । রণজিৎকে জোর করিয়া কাহাকেও সৈন্ত করিতে হয় নাই। পঞ্চনদপ্রদেশের বলবান ও রূপবান যুবকদের দ্বারাই তাহার পদাতিক সৈন্যদল গঠিত হইয়াছিল । ইতিপূৰ্ব্বে খালসা-পদাতিক-সৈন্তদলে একমাত্র আকালীরাই উৎকৃষ্ট যোদ্ধা বলিয়া থ্যাতি লাভ করিয়াছিল । এই ধৰ্ম্মান্ধ ও দুর্দান্ত সৈন্তদিগকে স্ববশে রাখিবার নিমিত্ত মহারাজ রণজিৎকে প্রভূত ক্লেশ স্বীকার