পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৪ শিথগুরু ও শিখজাতি উড়াইয়া দিয়াছিল । প্রাণের মায়া পরিত্যাগ করিয়া একদিন আফগান— সৈন্তের শিখদিগকে ভীষণ-ভাবে আক্রমণ করিল । সেদিনকার লোমহর্ষণ যুদ্ধে আঠারশত শিখবার জীবনদান করিয়াছিল । কিন্তু মরিতে মরিতেও শিখেরাই জয়লাভ করিতেছিল, তাহদের জনবল বেশি ছিল ; অবরুদ্ধ আফগান-সৈন্তের নিহত হইয়া তিন শত মাত্র অবশিষ্ট রহিল : শিখেরা দুর্গ ফটক উড়াইয়া দিল । ২রা জুন তারিখে সাধু সিংহ নামক এক আকালী-শিখ সৰ্ব্বপ্রথমে দুর্গমধ্যে প্রবেশ করে তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ বহু শিথসৈন্য দুর্গাভ্যন্তরে গমন করিল। নবাব মুজফফর ও তাতার পুত্ৰগণ হতাবশিষ্ট সৈন্তগণসহ দুর্গমধ্যে অবস্থিতি করিতেছিলেন । শুভ্ৰ-শ্মশ্র বুদ্ধ নবাব অসংখ্য শত্রুসৈন্ত কর্তৃক বেষ্টিত হইয়াও বিন্দু মাত্র ভীত হইলেন না ; তিনি বীরের দ্যায় প্রকাগু যুদ্ধে অসিহস্তে মৃত্যুকে বরণ করিবার জন্ত প্রস্তুত হইলেন। মুজফফর পাঁচ পুত্রসহ যুদ্ধক্ষেত্রে চিরনিদ্রায় নিদ্রিত হইলেন । শিথসৈন্তের দুর্গ অধিকার করিয়া নগর লুণ্ঠন করিল। নবাব মুজফফরের দুইপুত্র বীরবর রণজিতের আনুগত্য স্বীকার করিয়া বৃত্তিলাভ করিয়াছিলেন । এই সময়ে সু জাহাবাদ গও রণজিতের অধিকার ভূক্ত হয় । - কাশ্মীরবিজয়ে মহারাজ রণজিতের রাজ্যপরিমাণ দ্বিগুণিত হইয়াছিল। ক্রমাগত আটবৎসর যুদ্ধের পর রণজিৎ পরম রমণীয় শৈলরাজ্য অধিকার করিয়াছিলেন । কাশ্মীরের জলবায়ু স্বাস্থ্যের পক্ষে এমন অনুকূল যে, এই দেশ ভূ-স্বৰ্গ নামে খ্যাত । এই লোভনীয় দেশের শাসনাধিকার লইয়া জাতিতে জাতিতে বহু লড়াই চলিয়াছে । ত্রয়োদশ শতাব্দীপৰ্য্যন্ত এই প্রদেশ হিন্দুরাজাদের অধিকারভুক্ত ছিল । তারপর প্রায় সাদ্ধ দুই শতাব্দী এক মুসলমানবংশ এই ভূ-খণ্ডের উপর আধিপত্য করেন। মোগল-ভূপতি আকবর দীর্ঘকাল কঠোর সংগ্রামের পর ১৫৮৮