পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ অধ্যায় |్న 94 গুরুগণ ধৰ্ম্মের রসসঞ্চার দ্বারাই শিখ-সম্প্রদায়ুকে প্রাণবান করিয়া তুলিয়াছিলেন । ধৰ্ম্ম-সংঘর্ষ এই সম্প্রদায়কে দিন দিন প্রবল করিয়া দিতেছিল । মহাত্মা গুরুগোবিন্দ অত্যাচারী মোগলদলের দৰ্প চূর্ণ করিয়া পঞ্চনদপ্রদেশে স্বাধীন শিখ-ধৰ্ম্ম-রাজ্য স্থাপনের জন্ত কঠোর সংগ্রাম করিয়াছিলেন ; দুর্ভাগ্যক্রমে র্তাহার উজ্জ্বল উচ্চলক্ষ্য অসমাপ্ত রাখিয় তিনি অকালে জীবনলীলা শেষ করিয়া গিয়াছেন। তাছার মৃত্যুর পরে শিখসম্প্রদায় নায়কশূন্ত হইয়া, কঠোর বিপদের মধ্যে পতিত হইল । ছোট ছোট সম্প্রদায় গড়িয়া উঠিল ; শিথের সমবেত হইয়া বহিঃশত্রু ভাড়াইয়া দিয়া স্বাধীন হইল বটে কিন্তু সেই কষ্টলন্ধ স্বাধীনত সম্ভোগ করিবার ক্ষমতা তাহদের ছিল না । রণজিৎ সিংহ এই সময়ে খণ্ডশক্তিগুলিকে একশাসনস্থত্রে বঁাধিয়া রাষ্ট্র গঠন করেন, কিন্তু যে ধৰ্ম্মভাব শিখসম্প্রদায়ের উদ্ভবকাল হইতে ইহাকে প্রাণবান করিয়া রাখিয়াছিল রণজিৎ সেই ভাবের সহিত যোগরক্ষা করিয়া স্বদেশবাসীদের ভেদবুদ্ধি নিরস্ত করিতে পারেন নাই। তাহারা তাহার গুণ-মুগ্ধ হইয় তাহার নিকট মাথা নত করিয়াছিল বটে, কিন্তু ব্যক্তিগত স্বার্থের তুলনায় জাতীয় স্বার্থ, সুশৃঙ্খলতা ও শাস্তিকে বড় বলিয়া মনে করিতে শিথে নাই। পঞ্চনদপ্রদেশে যদি তখন ধৰ্ম্মবুদ্ধির প্রবলতা থাকিত তাহা হইলে রণজিতের মৃত্যুর পর দশ বৎসর যাইতে না যাইতে ব্যক্তিগত স্বাৰ্থ, ঈর্ষা ও বিদ্বেষ-বহ্নি জুলিয়া উঠিয়া অপরিণত শিখ-রাষ্ট্রটাকে অকালে ভস্মীভূত করিয়া ফেলিতে পারিত না । তাহার উত্তরাধিকারীদিগের মধ্যে কেহ তাহার তুল্য প্রতিভাশালী হইলে তিনি দেশের মধ্যে ঐক্য ও শাস্তি রক্ষা করিতে পারিতেন কিন্তু দুর্ভাগাক্রমে তাহারা কেহই তেমন প্রতিভাবান ছিলেন না । রাজত্ব, মন্ত্রিত্ব, উজীরী প্রভৃতি পদ লইয়া প্রবল বিরোধ দেখা দিল । ক্রমে দেশমধ্যে সৰ্ব্বত্র অরাজকতা