পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ অধ্যায় వీసా সেরসিংহ লাহোরে ছিলেন না, তাহার ত গমনপর্যাস্ত ধানসিংহ ও ফকির আজিজুদিন প্রভৃতি প্রাচীন ৰিঙ্গ রাজ ৭চারিগণ নিহাল সিংহের মৃত্যুসংবাদ প্রকাশিত হইতে দেন নাই। সের সিংহের আগমনের পর যখনই । এই সংবাদ প্রচার হইল তখনি চারিদিকে তুমুল আন্দোলন আরম্ভ হইল । এই সময়ে কুমার নিহালসিংহের পত্নী অন্তৰ্ব্বত্নী ছিলেন বলিয়া কুমারের জননী চাদর্কোঁড় রাজ্যপরিচালনের সমস্ত অধিকার দাৰী করিয়া বসিলেন । ও দিকে সের সিংহও রাজপদলাভের জন্ত সচেষ্ট হইলেন । ঘোর আত্মদ্রোহ আরম্ভ হইল । সের সিংহ সৈন্তদিগের প্রিয় ছিলেন, তিনি তাহাদিগকে প্রলুদ্ধ করিয়া বলপুৰ্ব্বক রাজধানী অধিকার করিলেন। রাণীমাত চাদক্ৰেীড় জর্গে আশ্ৰয় লইয়া শুদ্ধ চালাইতে ছিলেন, পাচদিন সংগ্রামের পরে তিনি বাধা হইয় আপনার দাবী ছাড়িয়া দিয়া সন্ধি করেন । ১৮৪১ খষ্টাব্দে সের সিংহ রাজপদ লাভ করেন, কিন্তু রাজ্যমধ্যে শৃঙ্খলা ও শাস্তি পুন:-প্রতিষ্ঠিত হইল না । বিদ্রোহের পর বিদ্রোহ, অশাস্তির পর অশাস্তি দেখা দিতে লাগিল। দেশব্যাপী উচ্ছ জ্বলতার সুযোগে সৈন্তের প্রবল হইয়া উঠিল । তাহারা নিজেদের বেতনবৃদ্ধি ও কতিপয় রাজকৰ্ম্মচারীকে পদচ্যুত করিবার নিমিত্ত জেদ করিতে লাগিল । মহারাঞ্জ সেয়সিংহ তাহাদের অন্যায্য দাবী রক্ষা করিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করিবামাত্র লৈক্সের ক্ষেপিয়া যাইঞ্জা অনেক রাজকৰ্ম্মচারীর শিরচ্ছেদন কঞ্জিল! যুরোপীয় কৰ্ম্মচারীর প্রাণভয়ে ভীত হইয়া পলায়ন করিলেন । বিদ্রোহ চলিতে লাগিল । লোকের ধনপ্রাণরক্ষার কোনো উপায় রছিল না । কয়েক মাস সৰ্ব্বত্র স্বেচ্ছাচার পূর্ণমাত্রায় বিরাজ করিতেছিল । অবশেষে চুর্দান্ত সৈন্তদল আপনাঙ্গের অমিতাচারে আপনারাই কুস্তি হইয়া পড়িল এবং নিজেদের অসঙ্গত দাবী খৰ্ব্ব করিয়া মহারাজ সেরসিংহের সহিত রক্ষা করিল। কিছুকালের