পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/১৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখগুরু ও শিখঞ্জাতি چا تو مج " কাতরতা ও কৌশল ব্যর্থ হইল--ক্রোধান্ধ সৈনিকদের শাণিত তরবারির আঘাতে জোয়াহির সিংহের শির ছিন্ন হইল ! ভ্রাতার শোকে রাণী অধীর হইয়া এই নিষ্ঠুর হত্যার প্রতিশোধগ্রহণের সুযোগ খুজিতে লাগিলেন । - এই সময়ে শিখরাজ্যের অবস্থা শুতীব শোচনীয় । সৰ্ব্বত্র ভীষণ অরাজকতা বিরাজ করিতেছিল ; শাসন-বন্ধন-মুক্ত উন্মত্ত্ব সৈন্যদলের ভয়ে বড় বড় রাজকৰ্ম্মচারীপৰ্য্যন্ত শঙ্কিত থাকিতেন। এতদিন তাহাদিগকে অর্থদ্বার বশীভূত করা হইত, এখন রাজকোষ অর্থশষ্ঠ হওয়ায় তাহাও সাধ্যাতীত হইল। দূরবর্তী প্রদেশসমূহ হইতে এক কপদকও রাজস্ব আদায় হইত না । ইংরাজ-অধিকৃত কোনো কোনো স্থান আক্রমণ ও লুণ্ঠন করিয়া অর্থাভাব দূর করিবার কল্পনা কাহারে কাছারো মনে উদিত হুইল । মহারাজ রণজিৎ সিংহ ইংরাজদের সহিত সন্ধিসূত্রে মিত্রত স্থাপনের পর হইতে মৃত্যুপৰ্য্যস্ত চিরকাল উক্ত সৌহাৰ্দ্দ রক্ষা করিয়াছিলেন। তাহার মৃত্যুর পর হইতেই পঞ্চনদ প্রদেশে ইংরাজবিদ্বেষ প্রকাশ পাইয়াছিল—ধীরে ধীরে এক্ট বিদ্বেষ-ৰক্তি প্রজ্বলিত গুইয়। खेडिा । ১৮৪৫ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে রাজ্যের অবস্থা আলোচনার নিমিত্ত শিখসর্দার ও খালসাসৈন্তদলের প্রতিনিধিগণ এক সভায় মিলিত হইলেন । উক্ত সভায় কেহ কেহ এইরূপ মন্তব্য করেন যে, শিখের দিন দিন আপনাদের শৌর্য বীৰ্য্য হারাইতেছেন-অচিরে রণ-চৰ্য্যার কোনো সুযোগ ন পাইলে তাহারা একেবারে হীনবল হইয়া পড়িবেন । সৈন্তদের প্রতিনিধিগণ যুদ্ধের নাম শুনিয়া নাচিয়া উঠিলেন। অনেকেই শতদ্রু পার হইয় ইংরাজরাজ্য আক্রমণ করা যুক্তিসঙ্গত বলিয়া প্রকাশ করিলেন । ধীরপ্রকৃতি কোনো কোনো ব্যক্তি ইহার প্রতিবাদ করিলেন বটে, কিন্তু