পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i

  • শিখগুরু ও শিখজাতি

তোমার প্রদত্ত ঐ জল কি করিয়া তোমার পরলোকগত পূৰ্ব্ব পুরুষদিগের নিকট পহুছিবে ?” বালকের কথা শুনিয়া ব্রাহ্মণের অবাক হইয়া গেলেন। নয় বছর বয়সে উপবীতগ্রহণে অস্বীকৃত হইয়া মানক কুল, পুরোহিত হরিদয়াল পণ্ডিতকে স্তম্ভিত করিয়াছিলেন । নয় বছরের বালক, উপবীত গলদেশে প্রদান করিবার পূর্ব মুহূৰ্বে পণ্ডিত মহাশয়কে প্রশ্ন করিলেন,—“আপনি যে উপবীত প্রদান করিতে আনিয়াছেন, তাহা ধারণ করিলে আমার কি লাভ, না করিলেই বা কি ক্ষতি হুইৰে ?” পণ্ডিত বলিলেন—“উপনয়নসংস্কার হইলে তোমার হাতের জল শুদ্ধ হইবে, যাবতীয় ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে তোমার অধিকার জন্মিবে।” পণ্ডিত মহাশয়ের এই উত্তরে নানক সন্তুষ্ট হইলেন না। তিনি নানা যুক্তি দ্বারা র্তাহার মত থগুন করিয়া নিম্নলিখিত মৰ্ম্মে একটি শ্লোক বলিয়া উঠিলেন—“দয়ারূপ কার্পাস, সন্তোষকুপ স্বত্র, ইস্ক্রিয়দমনরুপ গ্রন্থি ও সত্যরূপ দণ্ডী যে উপধীতের তাহাই জীবের যথার্থ উপবীত ! হে পণ্ডিত, যদি এইরূপ উপবীত থাকে তাহ ধারণ কর। ইহা ছিন্ন বা মলিন হয়না; অগ্নিতে দগ্ধ হয় না। হে নানক, সেই মনুষ ধন্ত, যে এইরূপ উপবীতধারী হইয়৷ সংসারে বিচরণ করে ” বরোবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানকের ধৰ্ম্মানুরাগ বাড়িতে লাগিল। সাধু সন্ন্যাসী ও ফকিরদের প্রতি র্তাহার গভীর শ্রদ্ধা ছিল । সংসারের কার্যাদিতে ও ধনোপার্জনে নানক নিতান্ত উদাসীন ছিলেন । পুত্রের এই প্রকার সংসারে ঔদাসীন্ত ঘোর সংসার ধনলোভী কালুকে পীড়িত করিত। ধৰ্ম্মভাবে বিহ্বল পুত্রকে ভূতগ্রস্ত মনে করিয়া তিনি মাঝে মাঝে গভীর শোক করিতেন। তাহার মতি ধলোপাঞ্জনের দিকে ফিরাইয়া দিবার নিমিত্ত পিতা তাহাকে গোমহিষ চারণে ও কৃষিকার্য্যে নিযুক্ত করিলেন। নানক পিতৃনিদেশে গো মহিষ লইয়া প্রান্তরে গমন করিতেন। তথায়