পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“, o শিখগুরু ও শিখঞ্জাতি নিরস্কারী আপনি নিরাকার পরব্রহ্মের মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিবেন, ন মুদিখানার কাৰ্য্যে জীবন পাত কৱিরেন ? ” - - সন্ন্যাসীর কথাগুলি নানকের হৃদয়ের অন্তরতম প্রদেশ : স্পর্শ করিল, তিনি সেই শুভ মুহূৰ্ত্তে ভগবানের নিগৃঢ়। অভিপ্রায় বুঝিয়া ফেঁলিলেন : র্তাহার মুদিখানায় কাৰ্য্য, শেষ হইল । উল্লিখিত প্রকারে প্রত্যাদিষ্ট হইয়া বাবা নানক ৩২ ৰছর বয়সে ফকির হইলেন। নবাব দৌলত খা । লোদি ও নানকের আত্মীয়ের তাহাকে অনেক তিরস্কার করিলেন । নামক কাহারও : বারণ শুনিলেন না; তিনি পত্নী স্কুলখন, চারিবৎসরবয়স্ক পুত্র শ্রীর্চাদ, সদ্যোজাত পুত্ৰ লক্ষ্মীদাস, পিতা, মাতা, আত্মীয় স্বজনদিগকে ছাড়িয়া বাহির হইয়া পড়িলেন। নানকের চরিত্রের একটা আশ্চর্য্য অাকর্ষণী শক্তি ছিল । তিনি সকলকে ছাড়িয়। চলিয়াছেন, কিন্তু সকলে প্তাহাকে ছাড়িতে প্রস্তুত নহে । চাকর বালসিন্ধু ( ভাইথালা) তাহার সঙ্গ লইলেন । পিতা কালু নানকের গৃহত্যাগের খবর পাইয়া মর্দানা মিরাঙ্গীকে তাহার নিকট পঠাইয়াছিলেন । মৰ্দ্দান নানককে ধরিতে যাইয়া নিজেই র্তাহার কাছে ধরা দিলেন । নানকের সঙ্গে সঙ্গে তিনিও সংসারত্যাগী হইলেন। মর্দানা মুগায়ক ছিলেন। নানক যে সকল শ্লোক ও শবদ রচনা করিতেন তিনি রবাব যন্ত্রসহকারে সেইগুলি গান করিতেন । নানক ফকিরের বেশে দেশে দেশে বেড়াইতে লাগলেন । নানা বিসংবাদী ধৰ্ম্মমতের মধ্যে কোন মত লোকে অবলম্বন করিবে, কোন পথ শ্ৰেয়ঃ, তাহ নির্ণয় করিবার জন্ত তিনি ভারতবর্ষের সর্ব প্রদেশে এবং সিংহল, মক্কা, পারস্ত, কাবুল প্রভৃতি নানা দেশে ভ্রমণ করেন। । নানক যখন মক্কায় বেড়াইতে গিয়াছিলেন তখন একদিন তিনি মসজিদের দিকে পা দিয়া ঘুমাইয়াছিলেন। ইহা দেখিয়া মন্দিরের