পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অঞ্চয় *》> প্রধান মুল্লা ক্রুদ্ধ হইয় নানককে জাগাইয়া বলিলেন-- তুমি কেমন বেয়াদৰ ঈশ্বরের মন্দিরের দিকে পা করিয়া ঘুমাইতেছ?” নামক উত্তর করিলেন--" হে মূল্লা আমি অত্যন্ত পরিশ্রান্ত হইয়াছি । তুমি বলি: তেছ, ঈশ্বরের পবিত্র মন্দিরের দিকে পা প্রসারিত করিয়া আমি অপরাধী হইয়াছি। আচ্ছা, বল দেখি কোন দিকে ঈশ্বরের পবিত্র মন্দির নাই ? তাহা হইলে সেই দিকে আমার পা দুখানি ফিরাইয়ুঃ রাগিব ।’ মুল্ল নামকের বাক্যের কোন উত্তর করিতে ন পারিয়া অবাক হইয়া রছিলেন । মোগলসম্রাটু বাবরের সঙ্গেও নানকের একবার দেথা হইয়াছিল । সম্রাটু নানকের সাধুতায় মুগ্ধ হইয়া তাহাকে বিস্তর পুরস্কার দিতে চাহিয়াছিলেন, নানক তাহা গ্রহণ করেন নাই। তিনি বলিয়াছিলেন ---“ যে জগদীশ্বর সকল লোককে অন্ন দিতেছেন দও কিংবা পুরস্কার আমি তাহারই নিকট হইতে গ্রহণ করিব, আর কাহারো নিকট হইতে চাইনা ।” বাবা নানক ঈশ্বরপ্রেমে অনুপ্রাণিত হইয়। উৎসাহের সহিত সত্যধৰ্ম্ম প্রচার করিতে লাগিলেন । বিশ্বময় তিনি ভগবানের আশ্চর্য্য মহিমা দেখিয়া ধন্ত হইয়াছিলেন । শত শত শ্লোকে ও শব্দে তিনি তাহার অনুভূত আশ্চর্য সত্য প্রকাশ করিয়াছেন। . তিনি যে ব্রহ্মের আরতি রচনা করিয়াছেন তাহার অর্থ এই,—“ হে পরব্রহ্ম পরমেশ্বর জি, গগনরূপ থালে রবি চন্দ্র প্রদীপ স্বরূপ হইয়াছে, এবং তারকামণ্ডল মুক্তাসদৃশ শোভা পাইতেছে। মুগন্ধ মলয়ানিল ধূপস্বরূপ হইয়াছে এবং পবন চামর বাজন করিতেছে, বনরাজি উজ্জল পুষ্প - প্রদান করিতেছে। হে ভবখগুন, এইরূপে তোমার কেমন আরতি হইতেছে অনাহত শব্দসকল ভেরী বাঞ্জাইতেছে । তোম্বার সহস্ৰ নয়ন অথচ একটিও নয়ন নাই, সহস্র মূৰ্ত্তি অথচ একটিও