পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় R’s অমৃত সরোরর ও মন্দিরটির চারিদিকে একটি জনপূর্ণ ও সমৃদ্ধিশালী নগর গড়িয়া উঠিল । অমৃতসর শিখধৰ্ম্মের পীঠস্থান বলিয়। নির্দিষ্ট হইল । এই নগরটি যেমন ধৰ্ম্মপ্রাণ শিখদিগের নিকট পবিত্রতীর্থ বলিয়া পরিগণিত হইল, তেমনই জনবহুল ও বাণিজ্যপ্রধান বলিয়া সৰ্ব্ব ধৰ্ম্মাবলম্বী সৰ্ব্ব८थीश शाकद्र शिलनञ्जूमि झ्हेग्रा खैग्लिश । এতকাল গুরুগণ শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করিয়া গিয়াছেন। তাহার। যেন সংসার ও ধৰ্ম্ম এই দুইয়ের মধ্যে একটি রেখা টানিয়া রাখিতেন । অৰ্জ্জুন নিজ জীবনে উভয়ের সামঞ্জস্ত দেখাইয়াছিলেন। পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী গুরুদের প্রণালী অতিক্রম করিয়া তিনি কেবল গুরুর নহেন, কিয়ৎপরিমাণে রাজার স্থানও অধিকার করিয়াছিলেন । তিনি সৰ্ব্বদাই বহুসংখ্যক অনুরক্ত অনুচর দ্বারা পরিবৃত থাকিতেন । নিয়ম প্রবর্তন করিয়া তিনি শিখ-সমাজ গড়িয়া তুলিয়াছিলেন । এইরূপ ক্ষীণভাবে একটি ভাবী সামাজ্যের সূত্রপাত হইল । শিখসমাজের কল্যাণকল্পে অর্জন মাতৃভাষায় শিখধৰ্ম্মগ্রন্থ সঙ্কলন করেন। আদিগ্রন্থ সংগ্ৰহ করিয়া তিনি একমাত্র শিখ-সম্প্রদায়ের কেন, সমস্ত মানবজাতির কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন। অনেক অজ্ঞাতকুলশীল ব্যক্তি শ্লোক ও শব্দ রচনা করিয়া সেই গুলি গুরু নানকের নামে চালাইয়া সমাজের অনিষ্ট সাধন করিতেছিলেন । সাধারণের রচিত শ্লোকাদি হইতে গুরুদের রচনা পৃথক্ করিবার নিমিত্ত গুরু অর্জন এই শ্রমসাধ্য কাজ করিয়াছিলেন। শিখ ধৰ্ম্ম-প্রতিষ্ঠাতা প্রথম গুরু নানকের রচনা আদি গ্রন্থের প্রথম মহল্লা, দ্বিতীয় গুরুর রচনা দ্বিতীয় মহল্লা, তৃতীয় গুরুর রচনা তৃতীয় মহল্লা, চতুর্থ গুরুর রচনা চতুর্থ মহল্লা ও গুরু অর্জনের রচনা পঞ্চম মহল্লা বলিয়া উক্ত হয়। নবম গুরু তেগবাহাদুর ও দশম গুরু গোবিন্দ সিংহের উপদেশও