পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় ૭૧ গুরুগোবিদ তাহার শিদিগের মধ্য হইতে এই কৃত্রিম ব্যবধান দূর করিবার নিমিত্ত ঘোষণা করিলেন। “সকল শিখই সমান, জাতিবর্ণনিৰ্ব্বিশেষে সকলেরই শিখ হইবার অধিকার আছে। জাতির অভিমান ভুলিয়া ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈগু, শূদ্র সকলে একপাত্রে ভোজন কর। ভেদবুদ্ধি ভুলিয়া যাইয়া খালসা অর্থাৎ খোলাস ন হইতে পারিলে কহারও পরিত্রাণলাভ হইবে না। ’ শিষ্ণুদিগকে ‘খালসা করিবার নিমিত্ত তিনি ‘ পাছল’ নামক প্রাচীন দীক্ষাগ্ৰহণ-প্রথার পুনঃ প্রবর্তন করেন। তাহার আস্থানে একদিন শিন্ধের সমবেত হইল। তিনি তাহাদিগকে একটি বৃহৎ জলপূর্ণ পাত্র আনিতে আদেশ করিলেন। পাত্র আনা হইলে তিনি তাহার অভ্যন্তরের জল স্বীয় তরবারি দ্বারা আলোড়ন করিতে লাগিলেন। ঘটনাক্রমে ঐসময়ে গোবিনের পত্নী সেইথান দিয়া পঞ্চবিধ মিষ্টদ্রব্য লইয়া যাইতেছিলেন। গুরুগোবিন্দ উল্লাসে চীৎকার করিয়া বলিলেন--"আমাদের এই দীক্ষাভূমিতে নারীজাতির আগমন অতি শুভজনক ; ভগবান ইঙ্গিতে জানাইলেন যে, বৃক্ষ যেমন অসংখা পত্রে ভূষিত হয়, খালসা সম্প্রদায় তেমনি অসংখ্য সস্তান লাড় করিবে।” গুরু তাহার পত্নীর নিকট হইতে পঞ্চবিধ মিষ্ট চাহিয়া লইয়া সেগুলি জলের সহিত মিশ্রিত করিলেন। পবিত্র সরবৎ প্রস্তুত হইল। তিনি তাহার প্রধান পাঁচজন শিষ্ণুকে উহার কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ পান করিতে দিলেন, কিঞ্চিৎ তাহাদের মাথায় ছড়াইয়া দিলেন। মুস্নাত শুচি শিষ্যের গুরুপ্রসাদ লাভ করিয়া উচ্চকণ্ঠে গাহিয়া উঠিলেন-- ওয়া গুরুজী কি ফতে। দীক্ষিত পঞ্চশিষ্যের মধ্যে একজন ব্রাহ্মণ, একজন ক্ষত্রিয়, আর অপর তিনজন নিম্নশ্রেণীর শূদ্র । গুরু তাহার নবদীক্ষিত খালসা শিন্যদিগকে সিংহ উপাধিতে