পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8次 শিখগুরু ও শিখজাতি দিয়া, তাহাদিগকে কতকগুলি ছোট ছোট দলে বিভক্ত করিলেন । তাহার বিশ্বাসী সর্দার শিন্থের এই দলগুলির নেতা হইলেন । কেহ কেহ বলেন, গোবিন্দ সিংহের খালসা সৈন্তদলে অনেক পাঠান যোগদান করিয়াছিল । শিখগুরু ভারতবর্ষে নানা স্থান হইতে অর্থ ও সৈন্ত সংগ্ৰহ করিয়া আপনাকে বলশালী করিয়া তুলিতেছিলেন। যমুনা ও শতদ্রু নদীর মধ্যবৰ্ত্তী দুর্গম গিরিপ্রদেশে গোবিন্দ কয়েকটি দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিলেন । আনন্দপুর এবং চামকোঁড়েও সেনা-সন্নিবেশের ব্যবস্থা হইল । গুরু গোবিনোর খ্যাতি ও ঐশ্বর্য্য পাশ্ববৰ্ত্তী কোনো কোনো পাৰ্ব্বত্য রাজার ঈর্ষার উদ্রেক করিল। তাহার পুরাতন বন্ধু নাহনের রাজাই সৰ্ব্বপ্রথমে তাহার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিলেন । হিণ্ডুর রাজ কোনো সামান্ত কারণে গোবিন্দের প্রতি অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন ; তিনি নাহন রাজের সহিত যোগদান করিলেন । গুরুর অধীন একদল পাঠানসৈন্তও বিদ্রোহীদের সহিত মিলিত হইয়াছিল। উভয়পক্ষে একটি ভীষণ যুদ্ধ হইল । এই যুদ্ধে গোবিন্দ জয়লাভ করেন । নলগড়ের বিদ্রোহী রাজা তাহার হস্তে নিহত হন । অল্পকালমধ্যে গুরু গোবিন্দের অধিকার বিস্তৃত হইয়া পড়িল। আনন্দপুরের চতুদিগ্‌বৰ্ত্তী প্রদেশের উপর তাহার আধিপত্য সুপ্রতিষ্ঠিত হইল । আনন্দপুর দুর্গ অধিকতর মুরক্ষিত করা হইল । এই সময়ে পাৰ্ব্বত্য রাজার মোগলরাজকৰ্ম্মচারীদিগের সহিত বিবাদে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন । র্তাহাদিগকে দমন করিবার নিমিস্তু একদল মোগল সৈন্ত প্রেরিত হইয়াছিল । গোবিন্দ সসৈন্তে পৰ্ব্বত্য রাঞ্জাদিগকে রক্ষা করিতে চলিলেন । মোগল-রাজশক্তির ভয়ে ভীত হইয়া দুইজন পাৰ্ব্বত্যনায়ক বিশ্বাসঘাতকতা করিয়া মোগলদের পক্ষ