পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় 怨念 উঠিল—“কেন, পুনৰ্ব্বার সৈন্ত সংগ্ৰহ করিয়া সম্মুখযুদ্ধে হয় আমরা মরিক, নতুবা আপনাকে মারিল " বালকদ্বয়ের গৰ্ব্বিত উত্তরে শাসনকর্তার ধৈর্যাচুতি হইল ; তিনি ক্রুদ্ধ হইয়া বলিয়া উঠিলেন—“দেখ, তোমরা যদি প্রাণ বঁাচাইতে চাহ, তো এখনি মুসলমান ধৰ্ম্ম গ্রহণ কর, নচেৎ জীবিত অবস্থাতেই এখনই তোমাদিগকে কবরস্থ করা হইবে।” বিশ্বাসী বালকের বিন্দুমাত্র ভীত হইল না । তাহাদের কিশোর মুখমণ্ডল ধৰ্ম্মালোকে উদ্ভাসিত হইল । তাহার উত্তর করিল—“আমরা গোবিন্দ সিংহের পুত্র মৃত্যু-ভয়ে ভীত নহি মৃত্যু-ভয়ে কখনো ধৰ্ম্মত্যাগ করিব না ।” বালকদ্বয়ের মুখে উক্ত তেজোময়ী বাণী শ্রবণ করিয়া ওয়াজির খাঁ ক্রোধে অন্ধ হইলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ বালকদ্বয়কে নগর প্রাচীর মধ্যে জীয়ুস্ত পুতিয়া ফেলিবার আদেশ দিলেন । তাহারা শেষ-মুহূৰ্ত্ত পর্যন্ত অটল থাকিয়া অতি ধীরভাবে মৃত্যুকে বরণ করিয়াছিল। পৌত্রদ্বয়ের শোচনীয় মৃত্যুসংবাদ শ্রবণ করিয়া অসহ{োকে গোবিন্দ সিংহের জননী গুজরি প্রাণত্যাগ করিলেন। - মহাবীর গোবিন্দ সিংহ জননী ও পুত্রদ্বয়ের শোচনীয় মৃত্যুসংবাদ শ্রবণ করিয়াও ধৈর্যাচু্যত হইলেন না। এই বিষম বিপদে ধৈর্য্যাবলম্বন করিয়া তিনি স্বজাতীয়দিগের দৈস্য দূর করিবার ভাবী সুযোগের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। এক সুযোগে তিনি তাহার ভক্ত অনুচর চল্লিশ জনের সহিত মাথোয়াল দুর্গ ত্যাগ করিয়া চামকোঁড় দুর্গে গমন করেন। এই একটিমাত্র দুর্গই র্তাহার অধিকারে ছিল। মোগলের এই হগও অবরোধ করিল। মুসলমান শাসনকৰ্ত্ত গুরুকে বলিয়া পাঠাইলেন যে, তিনি শ্বধৰ্ম্মত্যাগ করিয়া মুসলমান হইলে তাহার কোনো ভয় নাই । গুরুর তেজস্বীপুত্র অজিতসিংহ সংবাদবাহক মোগল দূতকে তিরস্কার করিয়া তাড়াইয়া দিলেন। অসহায় গুরু গোবিন্দ মৃত্যুর জন্য