পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় 8:3 সম্রাটু বাহাদুরগাহ পৈতৃক সিংহাসন লইয়া ভ্রাতার সহিত বিবাদে প্রবৃত্ত ছিলেন। তিনি জাঠদলপতি তেজস্ব গুরুগোবিন্দকে বিবিধ মূল্যবান উপহার দান করিলেন এবং যথোচিত সম্মান দেখাইয় তাহাকে গোদাবরী প্রদেশের শাসনকৰ্ত্তার পদে নিযুক্ত করিয়া দিলেন। শিখগুরুর প্রতি নুতন সম্রাট কি কারণে এমন অনুরাগ দেখাইয়াছিলেন, বলা দুরূহ। হয়তে বা মনে করিয়াছিলেন যে, এই দুৰ্দ্দমনীয় শিখবীরের সহায়তায় তিনি প্রতাপশালী মারাঠাদিগকে বশীভূত করিতে পরিবেন । সম্রাট গুরু গোবিন্দকে পাঁচ সহস্ৰ সৈঙ্গের সেনাপতি নিযুক্ত করিয়াছিলেন। শিখগুরু মোগল সমাটের আশ্রয়ে কিছুকাল শাস্তিতে বাস করিতে লাগিলেন। তাহার শিষ্ণু ও বিচ্ছিন্ন সৈন্তগণ আবার আসিয়া তাহার সহিত মিলিত হইতে লাগিল । ইহার পর একবার তিনি পঞ্জাবে আগমন করিয়াছিলেন । এবারে ঠাহার সমস্ত শিষ্ণ আসিয় তাহার পার্শ্বে দণ্ডায়মান হইল । অল্পদিন-মধ্যেই তিনি দাক্ষিণাত্যে ফিরিয়া গেলেন । তথায় বনানামক এক সাহসী ব্যক্তি র্তাহার শিষ্য ও অনুচর হইল । গুরু গোবিন্দ যখন দক্ষিণাতো যুদ্ধে ব্যাপৃত ছিলেন, তখন এক পাঠান অশ্বব্যবসায়ীর নিকট হইতে তিনি কতকগুলি অশ্ব ক্রয় করিয়াছিলেন। একদিন ঐ অশ্ববিক্রেতা গুরুর দিকট তাহার ঘোড়ার মূল চাহিল। গোবিন্দসিংহ তখন কাৰ্য্যান্তরে ব্যাপৃত ছিলেন বলিয় তাহাকে চলিয়া যাইতে অনুরোধ করেন। তাহাতে পাঠান অসহিষ্ণু হইয় তাহাকে স্তব্বাক্য বলিল । গুরুগোবিন্দ ক্রোধে অধীর হইয়া তৎক্ষণাৎ তাহার শিরচ্ছেদন করেন । পর মুহূৰ্বেই তিনি আত্মকৃত এই নৃশংস কার্ষ্যের নিমিত্ত নিতান্ত মৰ্ম্মাহত হইলেন । তাহারই যত্নে পাঠানের মৃতদেহ যথারীতি সমাহিত হইল। মৃত পাঠানের পরিজনবর্গ প্রকাস্তে কোন প্রতিহিংসাগ্রহণের ভাব দেখাইল না । কিন্তু তাহার দুই পুত্র পিতার শোচনীয় মৃত্যুর