পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় هوب শাসনদও চালনা করিতেছিলেন। প্রতিনিধি নাজিবুদ্দৌলার দর্প চূর্ণ করিবার নিমিত্ত দিল্লীশ্বরের মন্ত্রী গাজীউদ্দিন মারাঠাদিগকে আহবান করিয়াছিলেন। মারাঠা-সেনা দিল্লী ছাইয় ফেলিল, নাজিবুদ্দৌলা পলায়ন করিয়া প্রাণরক্ষা করিলেন । দিল্লী অধিকার করিয়া মারাঠাসর্দার রাখোবা সসৈন্তে আদীনাবেগকে সাহায্য করিবার নিমিত্ত পঞ্চনদপ্রদেশে চলিলেন । আদীনা একদল শিখ সহ মারাঠাদের সহিত মিলিত হইল। এই সম্মিলিত সৈন্যদলের পরাক্রমে আবদালীর নিযুক্ত সিরহিন্দের শাসনকর্তা বিতাড়িত হইলেন। লুণ্ঠন-লব্ধ দ্রব্য বিভাগ লইয়া শিখে ও মারাঠায় বিরোধ উপস্থিত হইয়াছিল । বিবাদে মারাঠারা জয়ী হইল, শিখেরা লাহোর ছাড়িয়া পলায়ন করিল। মুলতান, আটক ও লাহোর মারাঠাদের হস্তগত হইল। পরাজিত আফগানেরা আপনাদের কতকগুলি শিবির তুলিয়া লইল । মারাঠাদের অনুগ্রহে আদীনাবেগ নাম-মাত্রে পঞ্চনদপ্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত হইলেন । উচ্চাভিলাষী আদীনা আপনাকে সৰ্ব্বময় কৰ্ত্ত করিবার নিমিত্ত চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু তাহার আশা পূর্ণ হইল না, অল্পদিন মধ্যে ১৭৫৮ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে তিনি ইহলোক ত্যাগ করিলেন । আদীনার মৃত্যুতে সমগ্র পাঞ্জাব মারাঠাদের শাসনাধীন হইল ; এই সময়ে প্রায় সমস্ত ভারতবর্ষে মারাঠাশক্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । গাজিউদিনের সহিত মিলিত হইয়া তাহারা আযোধ্যা-বিজয়ের ও উত্তর ভারত হইতে রোহিলাদিগকে তাড়াইবার আয়োজন করিতেছিল। সহসা বিজয়-লক্ষ্মী মারাঠাদের প্রতি বিমুখ হইলেন । পঞ্জাব হস্তচু্যত হওয়ায় আমেদ সাহের ক্রোধের সীমা রহিল না। বিজয়গৰ্ব্বিত মারাঠাদের দর্প চূর্ণ করিবার মানসে তিনি বিপুল বাহিনীসহ বেলুচিস্থান হইতে যাত্রা করিলেন । সাহের আগমন