পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*切* শিখগুরু ও শিখজাতি সংবাদ পাইরা মারাঠারা মুলতান ও লাহোঁর ছাড়িয়া পলায়ন করিল। - ১৭৬১ খৃষ্টাৰো প্রসিদ্ধ পানিপথ ক্ষেত্রে আফগান-মারাঠায় তুমুল সংগ্রাম হইল। অসংখ্য মারাঠা বীর যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ দিলেন। ঘরাণীয়াজের ভীষণ আক্রমণে মারাঠারা হতবীৰ্য্য হইলেন । উন্নতিশীল মারাঠা জাতির পরাভবের সঙ্গে সঙ্গে ভারতে হিন্দুরাজ্য প্রতিষ্ঠার আশা অন্তর্হিত হইল। ভারতবর্ষের ইতিহাসে ভীষণ পরিবর্তন সঙ্ঘটিভ হইয়া গেল । দুরাণীরাজ যুদ্ধান্তে সিরহিন্দ ও লাহোরে শাসনকর্তা রাখিয়া স্বদেশে প্রত্যাগমন করিলেন । পঞ্চনদ প্রদেশের আধিপত্য লইয়া মারাঠাদের সহিত ছুরাণীরাজের যখন উল্লিখিতরূপ সংগ্রাম চলিতেছিল, শিখেরা তখন কোনো পক্ষ অবলম্বন করে নাই। দেশের অরাজক অবস্থা তাহাদিগকে বলসঞ্চারের অবসর দিয়াছিল। দুই চারিট ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল অলক্ষ্যে পশ্চাৎ বা পার্শ্ব হইতে আফগানসৈন্তদিগকে আক্রমণ করিয়াছিল । কিন্তু চুরাণীরাজ পঞ্চনদ প্রদেশ ত্যাগ করিবার পরেই তাহারা আবার প্রবল হইয়া উঠিল। ৰাসগ্রামগুলি তাহীদের করায়ত্ত হইল, অধিকন্তু আত্মরক্ষার নিমিত্ত তাহারা স্থানে স্থানে নুতন নূতন দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিতে লাগিল। শিখবর রণজিৎ সিংহের পিতামহ সুরথ সিংহ তাহার পত্নীর পিত্রালয় গুজরানচুওয়ালে একটি সেনানিবাস সংস্থাপন করেন। ১৭৬২ খৃষ্টাব্দে দুরাণীরাজের প্রতিনিধি এই দুর্গটি আক্রমণ করেন। তখন শিখেরা আপনাদের গৌরবরক্ষার নিমিত্ত সুরথ সি হের পতাকামূলে সমবেত হইল। জুরাণীরাজ প্রতিনিধি পরাঞ্জিত হইয়া লাহোরফুর্গে আশ্রয় লইলেন । লাহোর নগরে শিখেরা প্রাধান্ত লাভ করিল . সিরহিদের শাসনকৰ্ত্তার প্রতাপ পূৰ্ব্ববং অক্ষুণ্ণ ছিল। হিজুন খী নামক পঞ্চনদ প্রদেশবাসী