পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় o' বিজয়োম্মত্ত শিখের যমুনা পার হইয়া সাহারণপুরে গমন করিল। নাজিবুদ্দৌলা এই সময়ে জাঠ-নায়ক স্থরজমলের সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত ছিলেন ; শিখদের পরাক্রমে চিন্তিত হইয়া তিনি স্বীয় রাজ্যে ফিরিয়া আসিলেন। তিনি কৌশলে কিছু কালের জন্ত শিখদিগকে থামাই। রাখিলেন । আমেদ সাহ আবদালী সহজে ছাড়িবার পাত্র ছিলেন না । তিনি স্বীয় শাসনকর্তার মৃত্যুসংবাদে ক্রুদ্ধ হইয় আবার পঞ্চনদপ্রদেশে আসিয়া উপনীত হইলেন । কিন্তু এবারে শিখদিগের বৰ্দ্ধিতপ্রতাপ-দর্শনে তিনি বিস্থিত হইলেন । যুদ্ধক্ষেত্রে জয়লাভের কোনো সম্ভাবনা নাই বুঝিতে পারিয়া তিনি কৌশলে স্বীয় অধিকাররক্ষার চেষ্টা করিলেন । আমেদসাহ পাতিয়ালার সর্দার আলুহা সিংহকে তাহার প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন করিলেন এবং লাহোর ও রোটাস নগরে সৈন্ত রাখিয়া কাবুলের বিদ্রোহ দমন করিতে চলিলেন। প্রস্থানসময়ে শিখের পশ্চাদভাগ হইতে সাহের সৈন্যদের উপর পতিত হইয়া তাহাদিগকে ভীষণ তাড়া দিয়াছিল । এই সময়ে শিখের লাহোর নগর অধিকার করে । তিন জন শিখনায়ক যুক্তভাবে নগরের শাসনকার্য্য পরিচালনা করিতেছিলেন । শতদ্রু হইতে যমুনাপর্যন্ত সমস্ত ভূভাগ শিখদের শাসনাধীন হইল । অমৃতসর নগরে শিখদের জনসাধারণসভার এক অধিবেশন হইল । এই সভা পঞ্চনদপ্রদেশে খালসা সম্প্রদায়ের একাধিপত্য ঘোষণা করিল। বিজয়গৌরব সাধারণে । প্রচার করিবার নিমিত্ত খালসাসম্প্রদায় নূতন মুদ্রার প্রবর্তন করিল। ঐ মুদ্রার উপর লিখিত হইয়াছিল যে, গুরু গোবিন্দসিংহ নানকের নিকট হইতে দেগ’ ‘ তেগ’ ও ‘ ফতে’ অর্থাৎ ' দানশীলতা” - শৌর্য্য’ ও * জয়গৌরব’ লাভ করিয়াছেন । - এই সময়ে দুই বৎসরের জন্ত ক্লিথের বৈদেশিক শক্ৰ কর্তৃক আক্রান্ত