পাতা:শিখগুরু ও শিখজাতি.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ শিখগুরু ও শিখজাতি হয় নাই । নবলব্ধ স্বাধীনতা তাহারা কি ভাবে সম্ভোগ করিবে, কে কতখানি রাজ্য ভোগ করিবে ইত্যাদি সমস্ত তখন তাহদের নিকট উপস্থিত হইয়াছিল । বৈদেশিক শত্রুর আক্রমণভীতি তাহাদিগকে যে ঐক্যদান করিয়াছিল, ক্রমে ক্রমে সেই ঐক্যবন্ধন শিথিল হওয়াতে আয়ুদ্রোহের আরম্ভ হইল । ইতিমধ্যে ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দে আমেদ সাহ আবদালী শেষ বায় শিখ-শক্তি ধ্বংস করিবার মানসে পঞ্চনদপ্রদেশে উপনীত হইলেন । এবারে আমেদ সাহের আর পূর্কের স্তায় শক্তি সমর্থ ও উৎসাহ ছিল না ; বাৰ্দ্ধক্য র্তাহার অনন্তমূলভ শেীর্ষ্য বীৰ্য্য হরণ করিয়াছিল। তজ্জন্ত তিনি তাহার অনুগত পাতিয়ালার সর্দার অমরসিংহকে মহারাজ উপাধিতে ভূষিত করিয়া তাহাকে সিরহিনের রাজত্ব দান করিলেন । অমর সিংহ স্বাধীন রাজার তুলা মুদ্রাপ্রচার, রাজচ্ছত্র পতাকাদি ব্যবহার করিবার অধিকার পাইলেন । লাহোরের যুক্ত শিখ শাসনকর্তৃক্লয়ের একজন নায়কের উপর আমেদসহ লাহোরের নিকটবর্তী তাহার অধিকৃত প্রদেশের শাসনভার অর্পণ করেন । আবদালী মনে করিয়াছিলেন যে, এই কার্যে তিনি শিখদের সহানুভূতি লাভ করিতে পরিবেন । শিখের বৃদ্ধ আফগানরাজের দুৰ্ব্বলতা বুঝিতে পারিল । এবার তাহার সসৈন্তে প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চনদ প্রদেশের উপর আফগানদের শাসনাধিকার চিরদিনের তরে অন্তৰ্হিত হইল। দুর্ভাগ্য আমেদ সাহের সৈন্যদলেও বিরোধ দেখা দিয়াছিল । তিনি যখন সৈন্তসহ স্বদেশে গমনোস্থত হইয়াছিলেন, তখন শিখেরা তঁহাকে পশ্চাৎ হইতে এমন তাড়া দিয়াছিল যে, তিনি বিবিধ যুদ্ধোপকরণ ফেলিয়া দ্রুত পলায়ন করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। আমেদসহ সিন্ধু নদী পার হইতে না হইতে শিখের লাহোঁর ও রোটাস অধিকার করিল । তাহার। সমগ্র পঞ্চনদ প্রদেশের জধও অধিকার লাভ করিল। -