পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিখ-গুরু বা শিক্ষকগণ *e শিক্ষা করেন, এবং যে সকল গ্রন্থে জাতীয় মাহাত্ম্য বর্ণিত আছে, তৎসমূrায় মনোভাগুীরে সঞ্চিত করিয়া রাখেন ॥৭৮ প্রায় বিশ বৎসর কাল গোবিন্দ এই অজ্ঞাতবাসে কালযাপন করিয়াছিলেন।** যৌবন-কালেই তাহার ভাবী মহত্ত্বের লক্ষণ দর্শন করিয়া নানকের শিষ্যমণ্ডলী তাহার সহিত যোগদান করিল। তিনি এক্ষণে শিখদের গুরু ও নেতৃপদে বরিত হইলেন। রাম রায়ের শিষ্যগণ তাহীদের গুরুকে উপেক্ষা করিয়া, এক বিরুদ্ধ-মতাবলম্বী সম্প্রদায়ে পরিণত হওয়ায়, রাম রায়ের ক্ষমতা হ্রাস হইল। চতুঃপার্শ্ববর্তী নরপতিগণ গুরুর প্রাধান্ত উপলব্ধি করিতে লাগিলেন ; তাহারা বুঝিলেন,—গুরুর কোন উচ্চাভিলাষ নাই ; তৎসম্বন্ধে তাহার আশঙ্কারও কোন কারণ দেখিলেন না। পিতার শোচনীয় মৃত্যুর বিষয় এবং আওরঙ্গজেবের নিষ্ঠুর ব্যবহার, গোবিন্দের মনে চির-দিন জাগরুক ছিল। বিবিধ শাস্ত্রাধ্যয়নে ও ঈশ্বর-চিস্তায় গোবিদের মানসিক বৃত্তিগুলি সমূদ্রত হইয়াছিল ; বহুদৰ্শিতায় তাহার বিচারশক্তি পরিস্ফুট হইয়াছিল। গোবিন্দ এক্ষণে পিতার অপমৃত্যুর ও স্বদেশের অনিষ্টের জন্য প্রতিহিংসা-বৃত্তি চরিতার্থ করিবার অভিপ্রায় করিলেন । নবশক্তি বলে তাহার উত্তেজনা বৃদ্ধি হইল ; আপন শিষ্যদিগের পুনরায় এক নূতন প্রাণ সঞ্চারের জন্য বদ্ধপরিকর হইলেন। নানক প্রবর্তিত সৰ্বসন্মত ধর্মশিক্ষার নূতন সংস্কার-সাধন করিয়া, তাহাতে অধিকতর সঠিক ও উদ্দেশু-সাধনোপযোগী শক্তি-সঞ্চার করিতে সঙ্কল্প করিলেন । প্রবল-শক্তি-সম্পন্ন সাম্রাজ্য-মধ্যে বাস করিয়াও তিনি সেই সাম্রাজ্যের ধ্বংস-সাধনে কৃতসংকল্প হইলেন। সামাজিক অবনতি ও ধর্মবিষয়ক কুসংস্কার প্রভৃতির মধ্যেও তিনি আচার-পদ্ধতির সরলতা, উদ্দেশ্বের অভিন্নতা এবং দুর্দমনীয় চিত্তোন্মত্ততা স্বষ্টি করিলেন ।*9 ৪৮। গোবিন্দের প্রথম বয়সে নির্জন-বাস এবং কার্য-কলাপ সম্বন্ধে সকল স্থলেই একরূপ বর্ণনা দৃষ্ট হয়। কিন্তু ফরষ্টারের (Forster, Travels. i 301) গুরমুখীর বর্ণনা পাঠে জানা যায় প্রথমত গোবিন্দ পাটনায় নীত হন ; সেখানে কিছুকাল বাস করিয়া পরে তিনি শ্ৰীনগরের পার্বত্য-প্রদেশে প্রস্থান করেন । ৪৯। ইংরেজ অথবা ভারতীয় ঐতিহাসিকগণ কেহই প্রকৃত সময় নিরূপণ করিতে সমর্থ হন নাই। তারিখ ও ঘটনাবলী তুলনা করিলে দেখা যায়—১৬৯৫ খৃষ্টাৰে অথবা পত্রিশ বৎসর ব্যক্রম না হওয়া পর্যন্ত গোবিন্দ ধর্মগুরু-রূপে নুতন কার্য গ্রহণ করেন নাই। ( Malcolm, sketch', p. 186 note) এই শিখ গ্রন্থকারের গণনায় ১৬৯৬ খৃষ্টাব্দে গোবিনের ধর্মসংস্কার আরম্ভ হয়। কিন্তু এই সকল মত খণ্ডনকল্পে, গোবিলের কতকগুলি বাক্য অথবা তাহার হস্তলিপি উদ্ধৃত করিয়া দেখিলে বুঝা যায়, মৃত্যুর অব্যবহিত পূর্বে গোবিন্স যখন ভারতবর্ধের দক্ষিণ-প্রদেশে গমন করেন, তখন হইতে র্তাহার ধর্মসংস্কার त्रांब्रञ्च श्झेब्रां८छ् ॥ e • । প্রচলিত বিবরণে গোবিনোর পিতামহের সম্বন্ধে যেরূপ বর্ণনা দেখা যায়, গোবিনোর বিষয়েও সেইরূপ জানা যায়, পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ কামনাই তিনি প্রধানতঃ মুসলমানদিগের বিরুদ্ধে জয়ধারণ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু গোবিন্দ অন্যাস্ত কারণেও এইরূপ দুঃসাহসিক কার্ষে প্রবৃত্ত হন। সে কারণাবলী যে স্তায়সঙ্গত, তাহ অস্বীকার করা কোন মতেই উচিত নহে। তিনি উৎকট औषांश-द्रवन श्रेब ठांशबdरे भश्९ छrणश्च नक्ण कनिष्ठ वङ्गभद्र हरेशांशिणन। तख्ठः, वक्षा