পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রণজিৎ সিংহের প্রাধান্ত প্রতিষ্ঠা »ዓ«» কাশ্মীরের দক্ষিণ প্রদেশস্থ পার্বত্য-রাজগণকে অধীনতা-পাশে আবদ্ধ করিবার আয়োজন করিতেছিলেন। অপরের পরিত্রাণ হেতু তাহার পক্ষ অবলম্বনের ভাব প্রকাশ করিয়া, তিনি আপন সিদ্ধির পথ স্বগম করিতে চেষ্টা পাইতেছিলেন। স্বরাজের ভিত্তি-ভূমি দৃঢ়ীকরণ মানসে, রণজিৎ সিং, সা সুজার পত্নীর নিকট প্রকাশ করিলেন,- তিনি র্তাহার স্বামীকে মুক্ত করিয়া দিবেন ; কাশ্মীরে সা মুজার আধিপত্য বিস্তৃত হইবে । রণজিৎ সিংহের আশা ছিল,—সেই বীরোচিত কার্যে বিজয়লক্ষ্মী তাহার অঙ্কশায়িনী হইলে, সেই বিপন্ন রমণী তাহার দুঃসাহসিক কার্যের উপযুক্ত পুরস্কার প্রদান করিবেন ; রমণীর কৃতজ্ঞতার নিদর্শনস্বরূপ তিনি জগদ্বিখ্যাত “কোহিমুর’ নামক হীরকখণ্ড প্রাপ্ত হইবেন । কিন্তু সা স্বজাকে বন্দী করাই যে র্তাহার প্রধান উদ্দেশু, তদ্বিষয়ে আর কাহারও সন্দেহ রহিল না। পার্বত্য রাজগণকে আক্রমণ করিয়া প্রথম প্রথম রণজিৎ সিং কতকটা সিদ্ধি লাভ করলেন। এদিকে তাহার নব-বিবাহিত পুত্র খড়গ সিং ইতিমধ্যে জম্মু অধিকার করিয়া বসিলেন। তখন ১৮১২ খৃষ্টাব্দের শেষ ভাগে তিনি শুনিতে পাইলেন,—কাবুলের উজীর ফতে খ সিন্ধুনদ অতিক্রম করিয়াছেন। কাশ্মীর অধিকার করা তাহার প্রধান উদ্দেশু। রণজিৎ সিং সেই সংবাদ শুনিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিলেন ; বলিলেন,— দুইটি বিদ্রোহী রাজাকে দমন করিতে, তিনি উজীরের সহায়তা করিবেন। একজন বিদ্রোহী, রাজার ভ্রাতাকে আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন ; দ্বিতীয়, মুলতানের শাসনকর্তা, মামুদের অধীনতা স্বীকারে আপত্তি করিয়াছিলেন। সেই দুই জনকে দমন করাই র্তাহীদের প্রধান উদ্দেশু হইয়া দাড়াইল । ফতে খা নিজেও রণজিৎ সিংহের সহিত সাক্ষাৎ করিতে সমধিক উৎসুক হইয়াছিলেন। তিনি বুঝিয়াছিলেন, রণজিৎ সিং প্রতিদ্বন্দ্বী হইলে, কাশ্মীর অধিকার করা তাহার পক্ষে অসম্ভব হইবে । সুতরাং আপন উদ্দেশু-সাধনকল্পে ফতে খ স্বতঃই যে কোন প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হইতে স্বীকৃত ছিলেন। স্বার্থসিদ্ধির পথ সুগম করিতে, তিনি রণজিৎ সিংহের যে কোন প্রস্তাব অকুমোদন করিতে সম্মত ছিলেন। মহারাজ এবং উজীর উভয়েই পরস্পর পরস্পরকে ক্রীড়া-পুত্তলি-স্বরূপ আপন কুক্ষিগত রাখিতে চেষ্টা করিলেন ; কিন্তু কেহই সম্পূর্ণ সিদ্ধিলাভ করিতে সমর্থ হইলেন না। ১৮১৩ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারী মাসে কাশ্মীর অধিকৃত হইল। মোকুম চাদের অধীনস্থ শিখদিগকে পশ্চাতে ফেলিয়া, ফতে র্থ অগ্রগামী হইলেন। ফতে খ প্রতিপন্ন করিলেন,—তিনি নিজেই সে রাজ্য অধিকার করিয়াছেন ; সুতরাং রণজিৎ সিং সে রাজ্যের অংশ পাইতে অধিকারী নহেন। তবে রণজিৎ সিং একটা সুবিধা পাইলেন ; তিনি সাকে নজর-বন্দী করিয়া রাখিলেন। ফতে খাঁ সেই হতভাগ্য সম্রাটকে বলিয়াছিলেন,-তিনি যথেচ্ছ গমন করিতে পারেন ; সুতরাং সম্রাট শিখ সৈন্তের সহিত যোগদান করাই শ্ৰেয়ঃ মনে করিলেন ;–শিখ-সৈন্ত-সমভিব্যাহারে লাহোরে উপনীত হইয়া, সা-স্বজা প্রকৃত প্রস্তাবে বন্দিভাবে অবস্থান করিতে লাগিলেন।২২ २२ । मां८ब्र कुठ “রণজিৎ সিং" মই এবং ৯৫ পৃষ্ঠা ; ১৮১৩ খৃষ্টাব্দের ৪ঠা মার্চ গবর্ণমেন্টের বরাবর