পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Նծ8 শিখ ইতিহাস 'ডিভিসন' প্রভৃতি) সৈন্য, এমন কি সমগ্র সৈন্যে পদ-মৰ্যাদা নিরূপণ করিতে হইলে, তাহা "পাঞ্চ” বা ‘পঞ্চায়েৎ" নামক কমিটি অথবা কমিটিসমূহের একটি সভায় স্থিরীকৃত হইত। জুরি' বা পাঁচ জন বিভিন্ন ব্যক্তি লইয়া যে সভা গঠিত হইত, তাহাই ‘পাঞ্চ' ' বা ‘পঞ্চায়েৎ" নামে অভিহিত। প্রত্যেক সৈন্যদল (ব্যাটালিয়ন’ বা ‘কোম্পানি") হইতে প্রধান প্রধান ব্যক্তি সেই সভার বা সম্মিলনের সদস্ত নিযুক্ত হইতেন । মনোনয়নের সময় তাহাঁদের স্বভাব-চরিত্র আলোচিত হইত ; প্রকৃত-শিখ সৈন্য হিসাবে তাহদের যোগ্যতা জনসাধারণ বিচার করিয়া দেখিতেন, অথবা স্ব স্ব গ্রামে র্তাহাঁদের কিরূপ প্রভুত্ব বর্তমান, এবং তাহারা কিরূপ ধর্মপরায়ণ, সেই সকল বিষয় বিবেচিত হইলে, তাহারা ‘পঞ্চায়েৎ' সভার সদস্ত নিযুক্ত হইতেন। বস্তুত, ‘পঞ্চায়েৎ-প্রথা ভারতের সর্বত্রই প্রচলিত । যাহার যে জাতি, যে বংশ, যে ব্যক্তি যে বাণিজ্য ব্যবসায়ী বা যে যে কাৰ্যই করুক না কেন,—সেই সেই জাতি, বংশ, ব্যবসা-বাণিজ্য বা বৃত্তের প্রধান প্রধান ব্যক্তিগণ একত্র সমবেত হইয়া সম্মিলনে যাহা স্থির করেন, তাহারা সকলেই প্রত্যেকেই আপনাপন প্রধান ব্যক্তির আজ্ঞার বশবর্তী হইয়া থাকে। সৈনিক বিভাগের আবশুকতা অনুসারে একটি সমিতি গঠিত হওয়ায়, এই প্রথা পঞ্জাবপ্রদেশে আরও অধিকতর পরিস্ফুটিত হইয়াছিল। এইরূপে শিখগণ প্রতিনিধিত্বের যে ক্ষমতা লাভ করিয়াছিল, তাহার অতি পরিণত অবস্থায়ও শিখজাতি আপনাদিগের শাসনকর্তা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিতে পারিত ; তাহার তৎকালে অনেকাংশে একমতাবলম্বী হুইত, এবং তাহাদের অনুমোদন নিস্ফল হইত না। সময়ে সময়ে সভা-সমিতির অনুমতিক্রমে বা কার্যকলাপে স্বেচ্ছাচারী সৈন্যগণ বিদ্রোহী প্রজার সহিত যোগদান করিত ; অসন্তুষ্ট বিদ্রোহী জনসাধারণ সৈনিক পুরুষের স্বেচ্ছাচার বা অত্যাচার অবিচারের প্রশ্রয় দিত ; অসভ্য কৃষককুল, বেতনভোগী সৈন্যের ন্যায় অসৎস্বভাব সম্পন্ন হইত। তাঁহাদের প্রতিজ্ঞ প্রায়শঃই ক্ষণভঙ্গর বা অস্থায়ী ; অথবা অজ্ঞতার পরিচায়ক। কোন দৃঢ় বিশ্বাস বা ধারণা তাহাজের মনে বদ্ধমূল হইত না, অথবা তাহারা স্বেচ্ছাক্রমে কোন কু-সংস্কারের বশবর্তী হুইত না। পরস্তু তাহারা সচরাচর ভিন্নমত অবলম্বন করিত। উৎকোচ প্রদানে তাহাদিগকে বশীভূত করা যাইত ; অথবা রাজা গোলাপ সিংহের ন্যায় স্বচতুর এবং অবিমূৰ্যকারীর প্রলোভনে তাহারা প্রতারিত ও প্রবঞ্চিত হইত।৩১ - ১৮৪১ খ্ৰীষ্টান্ধের শরৎকালে কিছুকাল নিরুদ্বেগে অতিবাহিত হুইল । সেই স্বযোগে বাণিজ্য সৌকর্যার্থ উন্ধেশুসাধনের পুনরায় উদ্যোগ হইতে লাগিল। ইংরাজ-গবর্ণমেন্ট কখনও সে বাণিজ্যনীতি’ বিশ্বত হন নাই। সিন্ধুনদ ও শতক্ৰতে বাণিজ্যপোত পরিচালনার স্থবিধ অনেকাংশে বৃদ্ধি হইয়াছিল। অতএব এক্ষণে পঞ্জাবের স্থলপথে —*— ७० । क्र्कौब्र फेबौछ उक्षिप्नब्र चौकांtब्रांखि नषप्क बिः क्लॉरर्कब्र गज जडेषा। (Letter of the 14th March, 1841) তখনও সমস্ত সৈন্য একতা-স্বত্রে আবদ্ধ ছিল ; তাছার পঞ্চাৎগণ কর্তৃক শাসিত হইত। *