পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উজীর জোয়াহীর সিংহের মৃত্যু २b-१ তৎপ্রতি তাহাদের দৃষ্টি সঞ্চালিত হওয়ায়, অনেকাংশে উন্ধেগুসিদ্ধি হইয়াছিল। নাভার আশ্রিত শিখ রাজ, মহারাজের অনুরোধে মাওরাণ নামক একটি পল্লী রণজিৎ সিংহকে প্রদান করেন ; তাহার (মহারাজার ) উদ্দেশু এই যে, ঐ স্থানটি ধান সিং নাথক নাতরাজের একজন প্রজাকে প্রদান করা হইবে ; তখন সেই ব্যক্তি পঞ্জাব-অধিপতির বিশেষ প্রিয়পাত্র হইয়াছিল। অতএব ১৮৩৯ খ্ৰীষ্টাব্দে অথবা ইংরাজ প্রভূত্ব প্রবর্তনের পরেই ঐ গ্রাম তাহাকে প্রদান করা হয় ; কিন্তু ইংরাজ কর্তৃপক্ষীয়গণ এ বিষয়ে কিছুই জানিতে পারিলেন না। যদি প্রমাণিত হয় যে, এই পল্লী ব্রিটিশ-রাজত্বের সম্পূর্ণ বহির্ভূত ও তাহা হইতে স্বতন্ত্র, তাহা হইলে, ঐ স্থান হস্তান্তর করা অন্যায় ও বিধিবিরুদ্ধ। নাভার রাজা ধান সিংহের প্রতি অসন্তুষ্ট হইয়া ১৮৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দে পুনরায় দান প্রত্যাহরণ করিলেন ; কিন্তু তাহার সৈন্যগণ রাজার এই কার্যে জায়গীরদারের ঐশ্বৰ্য-সম্পত্তি সকলই লুণ্ঠন করিল। তাহাতে লাহোর গবর্ণমেণ্ট অভিযোগের কারণ পাইলেন এবং সেই সুযোগে তাহার পক্ষাবলম্বন করিলেন।৮৪ কিন্তু বহুসংখ্যক মুদ্রা ও অমূদ্রিত রৌপ ও স্বর্ণ-পিণ্ড সম্বন্ধে ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের মীমাংসা-নিম্পত্তিতে হীরা সিং এবং তাহার পরমর্শদাতা, আরও অধিকতর আপত্তি করিলেন। রাজা স্বচেৎ সিং এই অৰ্থরাশি ফিরোজপুরে গুপ্তভাবে সঞ্চিত রাখিয়াছিলেন ; তাহার মৃত্যুর পর, সঞ্চিত অর্থ অপহরণের চেষ্টা করায় তাহার তৃত্যগণ ধৃত ও দণ্ডিত হয়। ঐ অর্থরাশির পরিমাণ ১৫,•••••• পনের লক্ষ টাকা এবং ইদানীং আফগান যুদ্ধ সময়ে ইংরাজ-গবর্ণমেণ্টের প্রতি কৃতজ্ঞতার ঋণস্বরূপ প্রদানের উদ্বেপ্তে, উহা ফিরোজপুরে প্রেরিত হইবে—এইরূপ বুঝা গিয়াছিল। ইংরাজ গবর্ণমেণ্টও এই সময়ে আশ্রিত শিখ রাজগণের নিকট হইতে ঋণ গ্রহণ করিতেছিলেন। লাহোরের মন্ত্রী ঐ অর্থরাশি দাবী করিলেন। তিনি বলিলেন, যেহেতু করদ রাজা সন্তান-বিহীন ; স্বাভাবিক উত্তরাধিকারী পুত্রের অবর্তমানে, উক্ত জায়গীরদারের সমূদায় সম্পত্তি সরকারের রাজ্যভুক্ত ; অধিকন্তু সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিয়া নিহত হওয়ায়, রাজদ্রোহিতার অপরাধে মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি ন্যায্যভাবে দণ্ড স্বরূপ রাজকোষভুক্ত । কিন্তু ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্ট বিবেচনা করিলেন যে, স্বত্বাধিকারীর রাজা-দ্ৰোহিতায় উক্ত সম্পত্তিতে র্তাহার অধিকার স্বত্ব কিছুমাত্র নষ্ট হয় নাই। তাহারা বলিলেন, জাম্ম, অথবা পঞ্জাবের আইনানুসারে ঐ সম্পত্তি অধিকার স্বত্বের প্রমাণ ন্যায্যক্কপে ইংরাজদিগের আইন আদালতে প্রমাণ করা আবশুক । তখন লাহোরের অমুকুলে স্থিরীকৃত হইল যে, ইংরাজদিগের কোন প্রজা অথবা প্রতিবাদী ঐ ধনসম্পত্তির দাবী করে নাই ; এবং স্কায়সঙ্গত অথবা দেশ-প্রচলিত স্বত্বাধিকারীকে উহা সমর্পণের জন্য সে সম্পত্তি যথা সময়ে পঞ্জাবের শাসনকর্তর হস্তে সমপিত হুইবে । কিন্তু উচ্চপদস্থ ইংরাজ কর্মচারিগণ ইউরোপের প্রচলিত নিয়মানুসারে জার অধিক শৈথিল্য প্রদর্শন করিলেন না। তাহার বলিলেন, যদি মহারাজ পূর্বেই জানাইতেন যে, আইন-সঙ্গত উত্তরাধিকারীকে ঐ ধন vs 1 Lieut. Col. Richmond to Government, 18th and 28th May, 1844.