পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰিতীক্স পরিচ্ছেদ দ্বিতীয় শিখযুদ্ধের সূত্রপাত [ রেসিডেন্টের নিকট মুলতান দুর্ঘটনার সংবাদ –তৎকর্তৃক সৈন্ত-প্রেরণের ব্যবস্থা –শিখসৈম্ভের প্রতি অবিশ্বাস —প্রধান সেনাপতির নিকট সৈন্তসাহায্য প্রার্থনা ; – যুদ্ধারম্ভে উাহার অনভিমত — গভর্ণর জেনারেলের সন্মতি- জ্ঞাপন : - লেফটনাণ্ট এর্ডওয়ার্ডসের অভিযান ;–লেও অধিকার ;—সসৈন্ত মূলরাজ কর্তৃক বাধা প্রদানের সংবাদে এডওয়ার্ডসের জিরাঙ্গ দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ ;-কটলাণ্ডের সৈন্যদলের সহিত র্তাহার সম্মিলন ;-লেফটেনাণ্ট এডওয়ার্ডসের কৃতকার্যতা ;-ডের গাজি খী আক্রমণ ;- ভাওয়াল“পুরের খী কর্তৃক অতিরিক্ত সৈন্ত-সাহায্য ;—উভয় পক্ষের সৈন্যবল ;–কিনারীর যুদ্ধ ;-ভাওয়ালপুরের সেনাপতির অকৰ্মণ্যতা ;–একদল বিদ্রোহীর পরাজয় –সুদুসাম যুদ্ধে জয়লাভ 1 ] ইদগার দুর্ঘটনার দুই দিন পরে সেই দুঃসংবাদ লাহোরে ব্রিটিশ-রেসিডেন্টের নিকট উপস্থিত হইল। তিনি মনে করিলেন,—বিদ্রোহী শিখদিগের উচ্ছৃঙ্খলায় ঐক্কপ ঘটিয়াছে ; ঐ বিদ্রোহে মুলরাজ যে কোনরূপ লিপ্ত আছেন, তাহার বিশ্বাস হইল না। স্বতরাং বিদ্রোহিগণের দমনের জন্য তিনি নানাদিক হইতে মূলতানে সৈন্য প্রেরণের ব্যবস্থা করিলেন। সাত দল পদাতিক, দুই দল স্থায়ী অশ্বারোহী এবং তিন দল গোলন্দাজ সৈন্য ও বহু গোলাগুলি প্রস্তুত হইল ; অতিরিক্ত ১২ শত অশ্বারোহী সৈন্যে এক নূতন দল সংগঠন করিয়াও ঐ অভিযানে পাঠাইতে মনস্থ করিলেন। এইরূপ ব্যবস্থ-বন্দোবস্তের পর, ২৩এ এপ্রিল রেসিডেন্ট মুলতানের বিদ্রোহের আহ্বপূবিক বৃত্তান্ত অবগত হইলেন। তখন তিনি বুঝিতে পারিলেন,—মুলতান-বিদ্রোহ দমন জন্য যে শিখসৈন্য পাঠান হইতেছে, বিদ্রোহের গুরুত্ব পরিমাণে তাহ পর্যাপ্ত নহে । সংখ্যার অল্পতা অপেক্ষাও তাঁহাদের সততার বিষয়ে তাহার ঘোর সন্দেহ উপস্থিত হইল। এই সঙ্কট সমস্তার সময়, প্রথমতঃ, রেসিডেন্ট ব্রিটিশপক্ষের স্থানান্তরযোগ্য কামানসমূহ লাহোর হইতে মূলতানে পাঠাইবেন মনস্থ করিয়াছিলেন । কিন্তু পরক্ষণেই দেশীয় সৈন্যদলের বিশ্বাসঘাতকতা এবং ব্রিটিশ-কর্মচারিদ্বয়ের হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা উপলব্ধি করিয়া, তিনি সে সঙ্কল্প পরিত্যাগ করিলেন। তখন তাহার মনে হইল,—"লাহোর হইতে ব্রিটিশ সৈন্য স্থানান্তরিত করিলে, লাহোরেও বিপত্তির সম্ভাবনা আছে ; লাহোর দরবারের অধীনস্থ শিখ-সৈন্তগণও যে সেরূপ বিশ্বাসঘাতকতা না করিতে পারে, তাহাই বা কে বলিল ? সে জবস্থায়, মুলতান আক্রমণের জন্য ব্রিটিশ-সৈন্ত প্রেরিত হইলে, যাহাদিগকে মিত্র বলিঙ্গ মনে করিতেছি, তাহারাই হয় তো শক্র-সৈন্তের সহিত যোগদান করিয়া বিষম অনর্থ ঘটাইতে পারে।” এইরূপ সিদ্ধাস্তের পর, তিনি পত্র লিখিলেন,—“এক্ষণে লাহোর হইতে ব্রিটিশ সৈন্যদলকে মূলভানে পাঠাইয়া দিলে, শিখ-গবরমেন্টের স্বায়িত্বসম্বন্ধে কি ফল ফলিবে, বলিতে পারি না ; মুতরাং এই অভিযানে আমি কোন প্রকারে ব্রিটিশ সৈন্যদলকে মূলতানে পাঠাইতে পারিলাম না।” রেসিডেন্টের এই স্পষ্ট উত্তর