পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨8 পরিশিষ্ট কেহই তাহাদিগকে সন্ধুপদেশ প্রদান করিতে সমর্থ হয় নাই। হে গোবিন্দ । সেই জন্তই আমি আজ তোমাকে আহবান করিতেছি। এক্ষণে তুমি পৃথিবীতে গমন করিয়া, একই সত্য ঈশ্বরের উপাসনা প্রচার কর ; এবং যাহারা পথভ্রষ্ট হইয়া বিপথগামী হইয়াছে, সেই মানবজাতিকে তুমি সৎপথে পরিচালিত কর।” ঈশ্বরের সেই আজ্ঞানুসারেই আমি পৃথিবীতে আসিয়াছি; তাহারই আদেশে একটি সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত হইল ; এবং র্তাহারই অনুমতিক্রমে আমি এই সম্প্রদায়ের বিধি-বিধান বা প্রচলিত নীতি-প্রথা প্রবর্তন করিলাম। কিন্তু যে আমাকে ঈশ্বর বলিয়া পূজা করিবে, আমি তাহাকে নরকের ঘোর অন্ধকারে নিক্ষেপ করিব। কারণ অামাতে ও জনসাধারণে কোনই প্রভেদনাই ; আমিও যেমন, সাধারণ মনুষ্যও তেমনই। আমি সেই পরম পিতার অত্যাশ্চর্য স্বষ্টিকৌশলের ७कछन लतक यांछ । - [ অত:পর গোবিন্দ প্রচার করিলেন,—হিন্দু এবং মুসলমানদিগের ধর্ম সকলই অকিঞ্চিৎকর ; হিন্দুধর্ম এবং মুসলমান ধর্ম মিথ্যা। যোগিগণ, এবং পুরাণ ও কোরাণপাঠক সকলেই প্রতারক। মুতি,—মৃৎ মূতি বা প্রস্তর মূর্তির উপাসনায় কিছুমাত্র বিশ্বাস স্থাপন করা কর্তব্য নহে। গোবিন্দ বলিলেন—“সকল ধর্মই কলুষিত এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন । সন্ন্যাসী এবং বৈরাগী সকলেই সমভালে অসৎপথ প্রদর্শন করিয়াছে ; ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং অপরাপর জাতির উপাসনা পদ্ধতিও বৃথা ও অকিঞ্চিৎকর । ধর্মগ্রন্থ বা পুথিপত্রে ঈশ্বর নাই ; যাহার এ কথা মনে করে, তাহারা নিশ্চয়ই নরকে নিপতিত হইবে। একমাত্র সত্যনিষ্ঠ এবং বিনয়ী হইলেই ঈশ্বর লাভ হয় ।” ইহার পরবর্তী অধ্যায় সমূহে, ত্রয়োদশ অধ্যায় পর্যন্ত, গোবিদের যুদ্ধাদি সম্বন্ধে বর্ণনা দেখিতে পাওয়া যায়। বাদসাহের সৈন্ত এবং পার্বত্য রাজাদিগের সহিত গোবিন্দ যে সকল যুদ্ধে নিযুক্ত হইয়াছিলেন, এস্থলে প্রধানত: তাহারই বিস্তৃত বর্ণনা সন্নিবিষ্ট রহিয়াছে । ] - “চতুর্দশ অধ্যায়”, (মর্ম) –হে জগদীশ্বর আপনি সদা সর্বদা উপাসকগণকে অসৎ পথ হইতে রক্ষা করিয়াছেন,—তাহাদিগকে পাপ পথ হইতে উদ্ধার করিয়াছেন ; আপনীি পাপীদিগের প্রতি কঠোর শাস্তি বিধান করিয়া থাকেন। আপনি আমাকে অনুরক্ত দাস রূপে গ্রহণ করিয়াছেন ; আপনি নিজেই আমাকে পালন করিতেছেন। হে করুণাময় জগদীশ্বর। আমি এ পৃথিবীতে আসিয়া আপনার স্বটিচাতুর্থ সম্বন্ধে যাহা পরিদর্শন করিলাম এবং আপনার মহিমা সম্বন্ধে যাহা প্রত্যক্ষ করিয়াছি, সে সকলই জামি